
কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম বছরে কানাডায় হেইট ক্রাইম ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোকজনকে যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে সে ব্যাপারে সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে হেইট ক্রাইমের ২ হাজার ৬৬৯টি ঘটনার কথা পুলিশকে জানানো হয়। ২০০৯ সালে এ সংক্রান্ত উপাত্ত সংরক্ষণের পর থেকেই এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
তবে ট্রাফিক সংক্রান্ত অপরাধ বাদ দিলে পুলিশের খাতায় লিপিবদ্ধ অন্যান্য অপরাধ ২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলছে, নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে পুলিশের কাছে যাওয়া হেইট ক্রাইমের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ৮০ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নাগরিকদের উদ্দেশ্য করে এ ধরনের অপরাধ বেড়েছে ৩০১ শতাংশ। এছাড়া কৃষ্ণাঙ্গদের উদ্দেশ্য করে হেইট ক্রাইম বেড়েছে ৯২, আদিবাসীদের উদ্দেশ্য করে ১৫২ এবং দক্ষিণ এশীয়দের উদ্দেশ্য করে বেড়েছে ৪৭ শতাংশ।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ইউনাইটেড চাইনিজ কমিউনিটি এনরিচমেন্ট সার্ভিসেস সোসাইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুইনি চু বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে উদ্দেশ্য করে হেইট ক্রাইম বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এটা কেবল এই সপ্তাহ বা মাসের বিষয় নয়। এটা একটা চলমান ইস্যু।
কানাডার বিভিন্ন জাতির লোকজন নিজেদের সুরক্ষার বিষয়টি কীভাবে দেখে থাকেন কোভিড-১৯ মহামারি তা বুঝিয়ে দিয়েছে। চু বলেন, আমরা সবাই কানাডিয়ান। রেসের বিষয়টি আমাদের দেশের জন্য একটি বড় ইস্যু।
এদিকে প্রদেশভেদে হেইট ক্রাইম সবচেয়ে বেশি নোভা স্কশিয়া, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং সাস্কেচুয়ানে। তবে প্রতিবেদনের এই ফলাফলকে আশ্চর্যজনক কিছু মনে করছেন না ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার মানবাধিকার কমিশনার কাসারি গভেন্দার। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শুধু হেইট ক্রাইম নয়, মোটা দাগে ঘৃণাসংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া কমিউনিটির সদস্যরা প্রায় দুই বছর ধরে যা বলে আসছেন এটা তারই প্রতিফলন। আগে থেকেই সুপ্ত থাকা ঘৃণাত্মক বিশ^াস উস্কে দিয়েছে এই মহামারি। যে পরিস্থিতিতে হেইট ক্রাইমের বিস্তার ঘটছে তার স্বীকৃতি দেওয়া ও মোকাবেলা করা আমাদের প্রয়োজন।