
কানাডা এখন মহামারির সন্ধিক্ষণে আছে এবং যে কারণে এ বছর সংক্রমণের আরও ঢেউয়ের দেখা মিলতে পারে। কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম শুক্রবার এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন।
ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, অগ্রগতি যে সরলরৈখিক হবে না সেটা আমরা আন্দাজ করতে পারি। সামনে আরও উত্থান-পতন দেখা যাবে। বসন্তে এবং হেমন্ত ও শীতে সংক্রমণ ফিরে আসার সম্ভাবনা এর মধ্যে অন্যতম। কোভিড-১৯ এখনও ছড়াচ্ছে এবং তা ফিরে আসার সম্ভাবনাও রয়েছে।
সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি ও জনস্বাস্থ্য বিিিনষেধ শিথিল করার পরিপ্রেক্ষিতে কানাডিয়ানদের মাস্ক পরিধান অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. তেরেসা ট্যাম। তিনি বলেন, কানাডায় বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার দেখা যাচ্ছে এবং ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্নের দিকে নজর রাখতে চলমান জেনোমিক সার্ভিল্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কোভিড-১৯ এর গোষ্ঠী সংক্রমণ বুঝতে ওয়েসওয়াটারের প্রবণতাও খুব কার্যকরী বলে জানান ডা. তেরেসা ট্যাম। সশরীরে কর্মকা- বেড়ে যাওয়া, বিএ.২ ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি ও ইমিউনিটির হ্রাস সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডা. ট্যাম বৃহস্পতিবার বলেন, জাতীয়ভাবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ শতাংশ বেড়েছে। এটা সংক্রমণ ফিরে আসার ইঙ্গিতবাহী। এর ফলে দেশে হাসপাতালে ভর্তিও বেড়ে যেতে পারে। তবে ভাইরাসের সঙ্গে বসবাসের জন্য কানাডিয়ানরা এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা খাতের ওপর এর যে প্রভাব পড়বে তা ভালোভাবেই ব্যবস্থাপনা করা সম্ভব হবে।