
কানাডায় মার্চে বেকারত্বে হার রেকর্ড সর্বনিম্ন নেমে এসেছে। ফেব্রুয়ারির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে মার্চে বেকারত্বের হার নেমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এতে ভূমিকা রেখেছে মাসটিতে কানাডার অর্থনীতিতে নতুন করে ৭২ হাজার ৫০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
১৯৭৬ সাল থেকে এটাই এখন পর্যন্ত কানাডায় বেকারত্বের সর্বনিম্ন হার। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলছে, চাকরির সন্ধান করেও পাননি এমন ব্যক্তিদের হিসাবে নিলে মার্চে কানাডায় বেকারত্বের হার দাঁড়ায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ, যা মহামারি পূর্ববর্তী সময়ের মতো।
মার্চে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে চালকের ভূমিকায় ছিল ৫৫ বছরের বেশি বয়সী ২৪ হাজার ৫০০ নারীর এবং ২৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী ৩৫ হাজার ৩০০ পুরুষের কাজ পাওয়া। কর্মসংস্থানগুলো মূলত খ-কালীন। প্রদেশ হিসেবে কর্মসংস্থান বেশি ছিল অন্টারিও এবং কুইবেকে।
সিআইবিসির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ অ্যান্ড্রু গ্র্যান্থাম বলেন, বেকারত্বের হার আরও কমিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। কারণ, তেল উৎপাদনকারী প্রদেশগুলোতে কর্মসংস্থান এখনও মহামারি পূর্ববর্তী অবস্থায় ফেরে নি। চাকরি চাইছেন কিন্তু পাচ্ছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার। কোভিড-১৯ মহামারির শুরুর দিকে অর্থাৎ ২০২০ সালের এপ্রিলে সংখ্যাটি ছিল ১৫ লাখের মতো। ২০২০ সালের আগের তিন বছরের প্রতি মার্চেই শ্রমশক্তি আকার একই রকম ছিল।
তাদের কাজ না খোঁজার পেছনে ভিন্ন ভিন্ন কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা। এক-চতুর্থাংশের কাজ না খোঁজার কারণ অসুস্থ্যতা অথবা অক্ষমতা। নিয়োগদাতার কাছ থেকে ডাকের অপেক্ষায় রয়েছেন শ্রমশক্তির আরও এক-পঞ্চমাংশ। অথবা তাদের সামনে করার মতো কিছু নেই বলে মনে করছেন তারা। এছাড়া এক-পঞ্চমাংশকে ব্যক্তিগত কারণে ও পারিবারিক দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে চাকরি খোঁজ বাদ দিতে হয়েছে।
শ্রমবাজারের এই সংকটে বেড়ে গেছে ঘণ্টায় মজুরিও। এই মজুরি ফেব্রুয়ারির ৩ দশমিক ১ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।