
তৃতীয় পক্ষ কেউ এলেই দীর্ঘদিন ধরে শাসন শোষন টিকিয়ে রাখা প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষ নিজেদের মধ্যেকার সব বিবাদ ভুলে একাট্টা হয়ে তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে খাখা করে উঠে। উপমহাদেশের রাজনীতিতে এই মিলটি বেশ লক্ষ্যনীয়। ভারতে কেজরিওয়াল কিংবা মমতা ব্যানার্জির উত্থান কংগ্রেস এবং বিজেপির জন্য গাত্র দাহের কারণ। ঠিক তেমনি পাকিস্তানে ইমরান খানের রাজনীতিতে যোগদান পিপিপি বা মুসলিম লীগ মেনে নিতে পারে নি। তারপরও ভারতে স্বল্প মেয়াদী হলেও এক সময় জনতা দলের বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংহ, সমাজবাদী দলের চন্দ্রশেখররা কংগ্রেস বা বিজেপির বাইরের দল থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তেমনি ইমরান খানও হয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশে তৃতীয় দল হিসেবে এক সময় দুটো দলের সম্ভাবনা দেখা দিলেও হঠকারিতা আর দুরদর্শিতার অভাবের কারণে দুটো দলই আজ জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন।
তবে যেনতেন প্রকারে নয়, আবেগ বা সাময়িক অর্জনের মোহে নয়, সকল প্রকার সুবিধাবাদীতার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গণমানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট কর্মসুচী সামনে নিয়ে এবং তা বাস্তবায়নের উদাহরণ সৃষ্টি করে ভারতের কেজরিওয়ালের দল আম আদমী পার্টি দিল্লীতে সফল হয়েছেন আর এবার সফল হতে চলেছে পান্জাব রাজ্যে। এই দলটি গোটা উপ মহাদেশে সৎ ও সফল রাজনীতির একটি মাইল ফলক বলে মনে করি। এর বড় একটি কারণ হলো কেজরিওয়াল ইমরান খানের মত পুর্ব থেকেই তারকা ইমেজ নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করার সুযোগ পান নি। এখানেই কেজরিওয়ালের বড় সার্থকতা। প্রশ্ন হলো ১৮ কোটি মানুষের বাংলাদেশে বিগত পন্চাশ বছরে কেন একজন কেজরিওয়াল তৈরী হতে পারলো না?
স্কারবোরো, অন্টারিও, কানাডা