
রানীর সিংহাসনে আরোহনের প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষ্যে প্রিন্স চার্লস ও তার স্ত্রী ক্যামিলা মে মাসে কানাডা ফিরছেন। গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটাই তাদের প্রথম কানাডা সফর। ক্লিয়ারেন্স হাউজ ও গভর্নর জেনারেল তিন দিনের রাজকীয় এই সফরসূচির ঘোষণা দেন।
বলা হয়েছে, প্রিন্স চার্লস ও ক্যামিলা নিউফাউন্ডল্যান্ড ও ল্যাব্্রাডর, উত্তরপশ্চিমাঞ্চল ও অটোয়া অঞ্চল ভ্রমণ করবেন। সফরের বিস্তারিত স্থান বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
রানী এলিজাবেথ সিংহাসনের আরোহনের ৭০ বছর গত ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণ করেছেন। গভর্নর জেনারেল মেরি সিমন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা যেহেতু রানীর প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপন করছি তাই হুই এবং আমি প্রিন্স অব ওয়েলস এবং ডাচেচ অব কর্ণওয়ালকে কানাডায় স্বাগত জানাবো। এই সফর বদলে যাওয়া কানাডা, আমাদের বৈচিত্রপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ এবং আদিবাসী কমিউনিটির টিকে থাকার ক্ষমতা তাদের সামনে তুলে ধরার একটা সুযোগ এনে দিয়েছে। গভর্নর জেনারেল সিমন গত মাসে তার লন্ডন সফরের সময় প্রিন্স চার্লস ও ক্যামিলার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পান।
প্রিন্স চার্লস ও ক্যামিলাকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করে আছেন বলে জানিয়েছেণ প্রথানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই সঙ্গে কেন আমরা কানাডিয়ান হিসেবে গর্বিত তার কিছু কারণ আমরা তুলে ধরতে চাই। এক বিবৃতিতে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, সফলকালে তারা কানাডিয়ানদের বৈচিত্র্য ও মহানুভবতা এবং আমাদের বিশাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, যা আমাদের গর্বিত করেছে তা সরাসরি প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাবেন।
প্রিন্সেস অব ওয়েলসের এটা হবে ১৯তম এবং ডাচেচ অব কর্নওয়ালের পঞ্চম কানাডা সফর। সর্বশেষ তারা কানাডায় আসেন ২০১৭ সালের গ্রীষ্মে এবং সে সময় তারা ইকালুইট, অটোয়া, ট্রেনটন ও ওয়েলিংটন এবং কুইবেকের গ্যাটিনো পরিদর্শন করেন।
প্রিন্স উইলিয়াম ও তা স্ত্রী কেটের আটদিনের ক্যারিবিয়ান সফরের কয়েক সপ্তাহ পর প্রিন্স চার্লস ও ক্যামিলার কানাডা সফরের এই ঘোষণা দেওয়া হলো। প্রিন্স উইলিয়াম ও কেটের ক্যারিবিয়ান সফরকে উদযাপন করা হলেও ব্রিটেনের ঔপনিবেশিক শাসনের ভাবমূর্তী বহন করায় সমালোচনাও হয়। মার্চের ওই সফরের সময় বিক্ষোভকারীরা লাখ লাখ আফ্রিকানকে দাস বানানোর ক্ষেত্রে ব্রিটেনের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান। উইলিয়াম জ্যামেইকাতে দেওয়া এক বক্তৃতায় দাসত্বের জন্য আন্তরিকভাবে দৃঃখ প্রকাশ করেন। তবে ক্ষমা চান নি।