
জীবিকার তাগিদে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান পাড়ি দেওয়ার জন্য গতকাল রোববার রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নের এনামুল হক রাকিব। সঙ্গে ছিলেন চাচা নুর ইসলাম বাবুল। ইমিগ্রেশনে প্রবেশের আগে রাকিব তার চাচার সঙ্গে ছবি তুলে নিজের ফেসবুক আইডিতে ‘গুড বাই বাংলাদেশ’ লিখে পোস্ট করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চাচা নুর ইসলাম বাবুল একটি ডাকাতি মামলার সন্দিগ্ধ আসামি। ফেসবুক পোস্টটি সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ হোসেন দাইয়ানের নজরে পড়লে তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর করেন। পরে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত এপিবিএনের সদস্যরা বাবুলকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি খালেদ দাইয়ান বলেন, বাবুল সোনাগাজী মডেল থানায় দায়েরকৃত একটি ডাকাতি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত। গত ২৬ মার্চ উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের চার নাম্বার ওয়ার্ডের আমিনুল হকের নতুন বাড়িতে ডাকাতি হয়। ওই বাড়ির বাসিন্দা নুর নবী শিমুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত চারজন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। তারা বাবুলের নেতৃত্বে ডাকাতি সংগঠিত হয় বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেন। ওই মামলার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালালে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। রোববার ঢাকা বিমানবন্দরে বাবুলের অবস্থানের খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। রাতেই মডেল থানার উপপরিদর্শক মাহবুব আলম সরকার ও নন্দন চন্দ্র সরকার তাকে থানায় নিয়ে আসেন।
আজ সোমবার দুপুরে বাবুলকে ফেনীর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
গ্রেপ্তার বাবুলের মা সাফিয়া বেগম বলেন, আমার ছেলে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে না। তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। গত ইউপি নির্বাচনে সে প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তির অনুরোধ উপেক্ষা করে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। তাদের ষড়যন্ত্রে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।