
ঢালিউডের পরিচিত মুখ চিত্রনায়ক জায়েদ খান। টানা দু’বার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শিল্পীদের ভোটের মাঠে টানা তৃতীয়বার জয় পেলেও আইনি জটিলতায় এখনও চূড়ান্তভাবে চেয়ারে বসতে পারেননি।
শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জায়েদ খানের বিভিন্ন মন্তব্য খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে। কখনো তার মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। সম্প্রতি তার একটি মন্তব্য নেটমাধ্যমে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। একটি বেসরকারি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলেন তিনি।
জায়েদ খান বলেন, ‘পরিচালক সমিতিতে নির্বাচিত হওয়ার সময় সোহানুর রহমান সোহান ভাইকে আমি যথেষ্ট সহযোগিতা করেছি। উনি একজন সম্মানিত লোক, তারও একটা খারাপ ভিডিও বের হয়েছিল। সেই ভিডিওটা সরানোর জন্য তাকে নিয়ে সাইবার ক্রাইম পর্যন্ত আমি দৌড়ঝাঁপ করেছি। সেই মানুষটাও ভুলে গেলেন। তাকে বিশ্বাস করেই আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান বানানো হলো। তিনি পরিচালক সমিতির সভাপতি, পরিচালকরা আমাদের বাবার মতো। কিন্তু তিনিই অন্যায়কে সাপোর্ট করলেন। একজন প্রার্থীকে সাতদিন পর নির্বাচিত ঘোষণা করলেন।’
এ ছাড়াও শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠনের হয়ে জায়েদ খানকে ‘বয়কট’ ঘোষণা করেন সোহানুর রহমান সোহান। সে প্রসঙ্গ টেনে নায়ক বলেন, ‘তিনি (সোহানুর রহমান সোহান) বলছে জায়েদ খানকে আমরা বয়কট করলাম। সেটাও আবার তার পরিচালক সমিতির প্যাডে। তারাই মহাসচিব বলছে, আমরা এটার সঙ্গে একমত নই। কয়েকজন মিলে এফডিসিটা সার্কাস জোনে পরিণত করেছে।’
এদিকে চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠন প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘পুরো ইন্ডাস্ট্রি আমার বিপরীতে থাকলে আমি ভোটে নির্বাচিত হই কীভাবে? চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠনের লিস্ট নেন, খুঁজে পাবেন না। নৃত্য পরিচালক সমিতি, ফাইটার সমিতি তারা আমারই (শিল্পী সমিতি) অঙ্গ সংগঠন। তাহলে ১৯টা কোথায় থেকে আসলো? ৩-৪টার পর আর খুঁজে পাবেন না। এগুলো মুখে মুখেই বানিয়ে ফেলে। নির্বাচিত সংগঠনকে নিয়ে আমরা বারবার ফেডারেশন করতে চেয়েছি। কিন্তু কিছুই করা হয়নি।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফলাফলকে ঘিরে হাইকোর্টে চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও নিপুনের আইনি লড়াই চলছে। চিত্রনায়িকা নিপুনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেন জায়েদ খান। তার এই অভিযোগের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের শুনানি পিছিয়ে আগামি ২৩মে দিন ঠিক করেছেন আদালত।
এর আগে, নিপুনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার বিষয়ে করা আবেদন শুনানির নির্ধারিত দিন সোমবার (২৫ এপ্রিল) ধার্য ছিল। আজ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।