0.3 C
Toronto
মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫

মুঠোফোনে অন্যজনের সঙ্গে কথা বলায় মীমকে হত্যা করেন স্বামী

মুঠোফোনে অন্যজনের সঙ্গে কথা বলায় মীমকে হত্যা করেন স্বামী - the Bengali Times

বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূ মীম আক্তারের (১৯) লাশ উদ্ধারের পরদিন এ বিষয়ে রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী মীমকে হত্যা করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী শাকিল হোসেন এ কথা স্বীকার করেছেন।

- Advertisement -

শাকিল পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, তাঁর স্ত্রী মুঠোফোনে অন্যজনের সঙ্গে কথা বলতেন। বিষয়টি তিনি ভালোভাবে মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে তাঁদের পরিবারের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে ঝগড়া-বিবাদ চলে আসছিল। বুধবার ভোররাতে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটির একপর্যায়ে মীমের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন শাকিল।

উপজেলার রণবীরবালা গ্রামে কাফুড়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় স্বামীর বাড়ির শোবার ঘর থেকে গত বুধবার মীমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর তাঁর স্বামী শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। রাতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁকে আজ দুপুরে শেরপুর জেলা আদালতে তোলা হয়েছে। সেখানে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

শুরু থেকেই মীমের বাবা মজনু মিয়া বলে আসছিলেন, তাঁর মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রাতে এ ঘটনায় জামাতাকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন তিনি। গ্রেপ্তার শাকিল হোসেন রণবীরবালার কাফুরা পশ্চিমপাড়ার রবিউল ইসলামের ছেলে। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছে শাকিলের ফুপু সান্ত্বনা বেগম, দাদি মর্জিনা বেগম (৫৫) ও চাচা সেলিম হোসেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মীমের বাবার করা মামলার আলোকে বুধবার দিবাগত রাতে শাকিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে শাকিল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, স্ত্রী মীমকে তিনি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। এই হত্যাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্য তিনি স্ত্রীর লাশ ঘরের মধ্যে বাঁশের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। প্রচার করেন, তাঁর স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। একপর্যায়ে পুলিশ উপস্থিত হওয়ার আগেই তিনি তাঁর স্ত্রীর লাশ ঝোলানো অবস্থায় থেকে নামিয়ে বিছানার ওপর রাখেন।

থানা পুলিশকে দেওয়া শাকিলের স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার অন্য আসামিরা পলাতক। তাঁদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।

সূত্র : আমাদের সময়

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles