
লোকটি একটা স্কুলের পরিচ্ছন্ন কর্মীর (জ্যানিটর) কাজ করেছে ২৭ বছর। এখন সে সেই স্কুলের প্রিন্সিপাল। কীভাবে সম্ভব?
তার নাম গ্যাবি সেনিয়ার। ১৯৮৫ সালের কোন একদিন। স্কুলের মেঝেতে ছড়িয়ে থাকা ছেঁড়া কাগজের টুকরা কুড়িয়ে ময়লার ঝুঁড়িতে রাখছিল। তাঁর পাশ দিয়ে স্কুলের প্রিন্সিপাল হেটে যাচ্ছিল। হঠাৎ প্রিন্সিপাল তাকে দেখে বলে বসল, তুমি যে কাগজের সিটগুলো কুড়াচ্ছ আর ময়লার ঝুড়িকে রাখছো, সেটা না করে তুমি তো কাগজের ওপর নম্বর দিতে পারো। কী তা করতে মন চায়না? আমি দেখতে চাই, কাগজ কুড়ানোর পরিবর্তে তুমি কাগজের খাতায় নম্বর দিচ্ছো।
এটা শোনার পর সে প্রিন্সিপালের মুখের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইল। প্রিন্সিপাল চলে গেলেন।
গল্পটির পরের কিস্তিটি অন্যরকম। প্রিন্সিপালের কথা উড়িয়ে না দিয়ে সে তার হৃদয়ে স্থান দিল। সেদিনের পর থেকে সে লেগে গেল স্কুলের শিক্ষক হওয়ার পিছনে।
২০০৮ সাল। তার বয়স তখন ৩৯বছর। জ্যানিটরের কাজের পাশাপাশি সে টিচিং ডিগ্রি কমপ্লিট করে ফেলল। তারপর সেই স্কুলেই শিক্ষক হিসেবে যোগদান করল।
তারপরের ঘটনা আরো মজার। আরাকানসাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে মাস্টার্স ডিগ্রিও সম্পন্ন করে ফেলল। ২০১৩ সালে সে যে স্কুলে সে জ্যানিটরের (পরিচ্ছন্নতা কর্মী)কাজ করত সেই স্কুলেই প্রিন্সিপাল হিসেবে জয়েন করল।
মানুষ স্বপ্ন দেখে। শুধু স্বপ্ন দেখলেই হয়না স্বপ্নকে তাঁড়া করতে হয়। সাথে লাগে একটু ধাক্কা। মানুষের পক্ষে সবই সম্ভব হয়, মানুষ যখন তার নিজের ভিতরের শক্তিকে জানতে পারে।
আমাদের প্রত্যেকের ভিতরেই সেই শক্তি আছে, কেউ কেউ সেটা আবিস্কার করে স্বপ্নকে ছুঁয়ে যায়, কেউ কেউ সেটা করেনা ভাগ্যের ওপর দোষ চাপিয়ে বসে থাকে।
স্কারবোরো, কানাডা