
হ্যালিফ্যাক্সের বাইরে টিম্বার্লির এক কোণায় একটি বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন ল্যাচি মেইনালি ও লক্ষ¥ণ কৈরালা। ডাউনটাউনের যে হাসপাতালে তারা হাউজকিপিংয়ের কাজ করেন সেখান থেকে দূরত্বটি বেশ। কিন্তু এখানকার বনাড়ির দাম নগরীর আবাসন বাজারের চেয়েও বেশি। চার শয়নকক্ষের বাড়িটির দাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলারের নিচে। যদিও বাড়িটি যে অনেক বেশি দামে বিক্রি হবে এই দম্পতির সেটি অজানা নয়।
গত দুই বছরে তারা ১৫০টির বেশি বাড়ি দেখেছেন এবং ১২টির বেশি বাড়ির দামও প্রস্তাব করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই ছিটকে পড়েছেন। কৈরালা বলছিলেন, এটা খুবই হতাশার। মাঝে মাঝে ভাবি, আবার বাড়ি দেখার আগে দাম কমা পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত।
কিন্তু অপেক্ষা করার সময় এই দম্পতির নেই। কারণ, ২০১১ সালে নেপাল থেকে আসা এই দম্পতির ঘরে ১২ ও ৮ বছর বয়সী দুটি শিশু রয়েছে। তারা একটি বাড়ি চায়। একটি উঠান চায়। তাই হ্যালিফ্যাক্স অঞ্চলে বাড়ির দাম সবচেয়ে দ্রুত বাড়লেও আশা ছাড়েননি তারা।
কৈরালার কথায়, দেশেও আমাদের কোনো বাড়ি নেই। এখানে আসার পর আমরা একটা বাড়ি চেয়েছি। আমাদের নিজেদের একটি বাড়ি হলে ব্যাপারটা কেমন হবে সেটাও ভেবেছি। এসবই আমাদের বাড়ির প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে।
হ্যালিফ্যাক্স থেকে সম্প্রচারিত সিবিসির এক সাক্ষাৎকারে মৈনালি বলেন, এটা একটি স্বপ্ন।
দেশের অন্যতম উত্তপ্ত আবাসন বাজার হচ্ছে আটলান্টিক কানাডার বৃহত্তম শহর হ্যালিফ্যাক্স। কানাডিয়ান রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে হ্যালিফ্যাক্স এরিয়াতে সাধারণ একটি বাড়ির দাম রেকর্ড ৪ লাখ ৬৫ হাজার ১০০ ডলারে উন্নীত হয়। এ মূল্য এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
ভাড়া বাড়ি খালি থাকার হার এখন ১ শতাংশের আশপাশে রয়েরেছ। হ্যালিফ্যাক্সের রিয়েলটর অ্যাঞ্জেলা কোয়ান বলেন, সবাইকেই আমি বলছি এটা টেকসই নয়। ১৭ বছর আগে এই ব্যবসায় আসার পর থেকে আবাসন বাজারের এই চেহারা কখনও দেখিনি।