
রাতের নামাজ শেষ করার পর গাড়ির মধ্য থেকে পাঁচ মুসল্লিকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে স্কারবোরোতে এ ঘটনা ঘটে।
পবিত্র রমজান মাস পালনকারী কয়েকজন মুসল্লির একটি গ্রুপ ওইদিন রাত ১টার দিকে নামাজ শেষে কোথঅয় খাওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি পার্কিং লটে সমবেত হন। মারখাম রোড ও লরেন্স এভিনিউ ইস্টের ওই পার্কিং লটে তারা জমায়েত হন বলে জানায় পুলিশ।
শনিবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত স্টাফ সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডেভিড রিডজিক বলেন, তারা স্থানটি ত্যাগ করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় গুলির শন্দ শোনা যায়। দুর্ভাগ্যবশত ওই ঘটনায় পাঁচজন গুলিরবিদ্ধ হন। মারখাম রোড দিয়ে চলা একটি গাড়ি থেকে গুলিগুলো ছোড়া হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় আহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং সেখান থেকে তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। গুলিবিদ্ধ পঞ্চম ব্যক্তি নিজেই হাসপাতালে চলে যান। আহতদের বয়স ২৮ থেকে ৩৫ বছর এবং কেউ কেউ বিবাহিত এবং তাদের সন্তান-সন্তুতি রয়েছে।
রিডজিক বলেন, আহত তিনজনকে চিকিৎসা শেষে আগেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি দুইজনের অবস্থারও ভালো উন্নতি হচ্ছে।
রিডজিকের তথ্য অনুযায়ী, ভুক্তভোগীদের লক্ষ্য করে কমপক্ষে ছয়টি গুলি ছোড়া হয়। তবে গুলি ছোড়ার সঙ্গে কতজন জড়িত সে তথ্য জানা যায়নি।
পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সন্দেহভাজনরা নীল রঙের একটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মারখাম সড়ক ধরে উত্তর দিকে যায় তারা।
রিডজিকের ভাষায়, আমাদের বিশ্বাস সন্দেহভাজনরা গাড়িতেই ছিলেন এবং তারা ভ্রমণ করছিলেন। সার্ভিল্যান্স ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে তা যাচাই করে দেখছি আমরা। ঠিক কোন গাড়িটি গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছে এই মুহূর্তে আমি তা বলতে পারছি না। সন্দেহভাজনদের কোনো বর্ণনাও দিতে পারছি না।
ধর্মীয় বিশ^াসের কারণেই ভুক্তভোগীরা হামলার শিকার হয়েছেন কিনা সে ব্যাপারেও কিছু বলতে পারছে পুলিশ। রিডজিক বলেন, ভুক্তভোগীরা এলোপাতাড়ি হামলার শিকার হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকারও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
টরন্টোর পুলিশ প্রধান জেমস রেমার রোববার বিকালে টুইটারে করা এক পোস্টে বলেন, হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলার সময় এখনও আসেনি। পুলিশের হেইট ক্রাইম ইউনিট তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
কমিউনিটির ওপর সাম্প্রতিক গুলির ঘটনায় উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন স্কারবোরো মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের পর্ষদ সদস্য নাদিম শেখ। এ ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি সত্যিই খুব হতাশ এবং উদ্বিগ্ন। আমি উদ্বিগ্ন। পাঁচজন প্রাপ্ত বয়স্ক ও পারিবারিক মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হলো। আমরা স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে এ নিয়ে যোগাযোগ করেছি। সন্দেহভাজনদের ধরতে ও বন্দুক সন্ত্রাস বন্ধে স্থানীয় সরকার তাদের সর্বশ্য নিয়োগ করছে।
গুলির ঘটনা সম্পর্কে কারও কাছে কোনো তথ্য বা ড্যাশ ক্যামেরা ফুটেজ থাকলে ৪৩ ডিভিশন অথবা ক্রাইম স্টপারদের সঙ্গে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।