
মঙ্গলপৃষ্ঠে পড়ে আছে একটি জীর্ণ-শীর্ণ প্যারাশুট। পাশেই দেখা যাচ্ছে ল্যান্ডারের মতো কিছু একটা, যা সাধারণত কোনো গ্রহে মহাকাশযান ও রোভার নামানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি এমনই কিছুর পেছনের অংশ বলে ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীদের। রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে এই প্যারাশুট ও ল্যান্ডারের ভগ্নাংশের মালিকানা নিয়ে।
বস্তু দুটি আসলে কার? নাসার আগেই কি অন্য কেউ লাল গ্রহটিতে অভিযান পরিচালনা করেছিল? নাকি ‘এলিয়েন’ কিংবা অপার্থিব কেউ মঙ্গলে নেমেছিল? এমন নানা অদ্ভুত প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে হেলিকপ্টার ইনজেনুইটির ধারণ করা কিছু অবিশ্বাস্য ছবি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গলে প্রাণের সন্ধানে পারসিভিয়ারেন্স নামের একটি রোভার পাঠায় নাসা। এর সঙ্গে ছিল ভিনগ্রহে ওড়ার উপযোগী প্রথম কোনো হেলিকপ্টার।
এটি সেখানে অবতরণের পর থেকে একের পর এক রহস্য উন্মোচন করে চলেছে, পাঠাচ্ছে তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো অনেক ছবি ও ভিডিও। ইনজেনুইটি এবার যে ছবি পাঠিয়েছে, তা দেখে রীতিমতো চোখ ছানাবড়া বিজ্ঞানীদের। পারসিভিয়ারেন্সের প্যারাশুট উন্নয়নে কাজ করেছেন আয়ান ক্লার্ক নামের প্রকৌশলী।
তিনি বলেন, ছবির উপাদান দেখে সায়েন্স ফিকশনের মতো মনে হচ্ছে। তবে এটি অন্য কারও নয়, মানুষের হাতে তৈরি।