
অন্টারিওর প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ পার্টি এমনভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে যাতে মনে হচ্ছে কোভিড-১৯ বিদায় নিয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মহামারি নির্বাচনী প্রচারণায় রঙ দিয়েছে। সেই সঙ্গে পূরণ না হওয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়টি এলে অন্তবর্তী পার্টি সুবিধাই পাবে।
আনুষ্ঠানিক প্রচারণা এখনও শুরু না হলেও প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে প্রদেশব্যাপী ভ্রমণ করে চলেছেন। ‘বিল্ডিং অন্টারিও’ ব্যানারের অধীনে এসব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। তারা গ্রেটার টরন্টো এরিয়ার পাশাপাশি দক্ষিণপশ্চিম এবং উত্তরেও যাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে যোগাযোগের ওপর। হাইওয়ে ও সাবওয়ে নির্মাণের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। সেই সঙ্গে হাসপাতাল ও লং-টার্ম কেয়ার অবকাঠামো সম্প্রসারণের কথাও বলছেন।
মহামারি থেকে প্রদেশকে পুনর্গঠনের দিকেই বেশি জোর দিচ্ছে প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ পার্টি। একটা দলই যে সেটা করতে সক্ষম আগামী ২ জুনের ভোটের আগে নিজেদেরকে সেই অবস্থানে দেখাতে চাইছে তারা। ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্যামেরন অ্যান্ডারসন বলেন, তারা এমনভাবে বিষয়টি নিতে চাইছে যেন মহামারি দূর হয়ে গেছে।
সাবেক লিবারেল কর্মকর্তা ও ক্রেস্টভিউ স্ট্র্যাটেজির জ্যেষ্ঠ পরামর্শক সুসি হিদ বলেন, তহবিল ঘোষণার যে বাড়বাড়ন্ত তাকে মহামারি থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা বলেই মনে হচ্ছে। সেই সঙ্গে গত কয়েক বছর ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেইসব হতাশ ভোটারদের আশ^স্ত করারও কৌশল। তারা মনে করছে, এসব ভোটাররা পুরনো স্মৃতি ভুলে ভালো ভালো যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে সেদিকেই বেশি মনোযোগ দেবেন। বিশেষ করে তাদের নিজস্ব রাইডিংয়ে।
সরকারি দলের সুবিধা নিয়েই নির্বাচনী প্রচারণায় নামছেন ফোর্ড। সাম্প্রতিক সমীক্ষাগুলোও বলছে, লিবারেল পার্টির জনসমর্থন কিছুটা বাড়লেও প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ পার্টিই অন্য সব দলের চেয়ে এগিয়ে আছে। তবে এগিয়ে থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ডগ ফোর্ডকে লড়াই করতে হবে। কারণ, বিরোধী সব দলই সংখ্যালঘু প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ সরকারকে সমর্থন না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ পার্টির আসন প্রয়োজন ৬৩টি।