
কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের পর রহস্যজনক প্রভাব সম্পর্কে গবেষণায় নতুন নতুন তথ্য উঠে আসায় ঠিক কত সংখ্যক মানুষ লং কোভিডে ভুগছেন তা নিরূপনের চেষ্টা করছে পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডা (পিএইচএসি)। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার সঙ্গে যৌথভাবে একটি জরিপও শুরু করেছে তারা।
শুক্রবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে কানাডার প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম বলেন, আমার ধারণা হচ্ছে লং কোভিডের প্রভাব ভালো রকমই হতে যাচ্ছে।
কোভিড-১৯ পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে ভালোমতো জানা গেলেও লং কোভিডের প্রভাব সম্পর্কে জানা যাচ্ছে সামান্যই। এমনকি কীভাবে এটি শনাক্ত হবে ভালোভাবে জানা নেই তাও। পাবলিক হেলথ এজেন্সি বলছে, এ ধরনের উপসর্গযুক্ত ১০০ জনের বেশি মানুষের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব উপসর্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় অবসন্নতা, স্মৃতিভ্রষ্টতা, উদ্বেগ, চাপ ও পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে জানিয়েছিল, কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগীর মধ্যে লং কোভিডের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ডা. ট্যাম বলেন, তবে হালনাগাদ গবেষণা অনুযায়ী এ হার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।
তিনি বলেন, ঠিক কত সংখ্যক মানুষকে লং কোবিডে ভুগতে হচ্ছে জনস্বাস্থ্য কমকর্তাদের সে ব্যাপারে বিস্তারিত ধারণা পেতে এই সমীক্ষা কাজে আসবে বলে আমি আশাবাদী। এছাড়া নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় বা বয়সশ্রেণির মানুষের মধ্যে এর ব্যাপকতা বেশি আছে কিনা সে ধারণা পেতেও সহায়ক হবে সমীক্ষাটি। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন যে লং কোভিডের বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও সুরক্ষা দিতে সক্ষম সে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে এসব গবেষণা এখনও চলমান আছে।