স্বামী, ২ সন্তানকে রেখে ২০ লাখ টাকা নিয়ে পুলিশ সদস্যের সঙ্গে লাপাত্তা গৃহবধূ
জাপানপ্রবাসীর স্ত্রীকে ২০ লাখ টাকাসহ ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রিমন বড়ুয়া বর্তমানে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ সুপার কার্য়ালয়ে কর্মরত রয়েছেন।
বুধবার (১৮ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী প্রবাসী সুকুমার বড়ুয়া। সংবাদ সম্মেলনে বাবার সঙ্গে ছিলেন দুই সন্তান।
লিখিত বক্তব্যে সুকুমার বড়ুয়া বলেন, ২০০৪ সালের ৮ নভেম্বর তারা পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে আমাদের ১৭ বছরের এক মেয়ে ও ১১ বছরের এক ছেলে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জাপানে অবস্থান করার সুবাদে তার স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন পুলিশ কনস্টেবল রিমন। তারা শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত হন। স্ত্রীর সঙ্গে রিমনের অবৈধ মেলামেশার বিষয়টি ছেলেমেয়েরা দেখে ফেলে। ফোনে বিষয়টি আমার ছেলেমেয়ে আমাকে অবহিত করে। এরপর আমি দেশে এসে ফোনে পুলিশ কনস্টেবল রিমনকে আমার সংসার না ভাঙার অনুরোধ করি। একাধিকবার বলার পর রিমন বিষয়টি আমলে নেয়নি। উল্টো র্যাবে চাকরি করার সুবাদে সে আমাকে ক্রসফায়ারে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, সর্বশেষ গত ১ মার্চ রিমন আমার স্ত্রীকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। এ বিষয়ে রাজধানীর সবুজবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। দুদিন অজ্ঞাত স্থানে রাখার পর ৩ মার্চ রিমন আমার স্ত্রীকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। এরপর ২২ মার্চ পুনরায় নগদ ২০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ আমার স্ত্রীকে রিমন নিয়ে যায়। সেই থেকে আমার স্ত্রীর আর খোঁজ পাইনি।’