
শরীরে পানিশূন্যতা (ড্রিহাইড্রেশন) হলে নানা অসুখের সম্মুখীন হতে হয় তা আমরা সবাই জানি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সমস্যা থেকে কিডনিতে পাথর জমার ঘটনাও ঘটতে পারে।
সম্প্রতি ভারতের হায়দরাবাদের নালগোন্ডার বাসিন্দা বীরমল্ল রামলাক্ষমাইয়ার জীবনে ঘটেছে এমনই ঘটনা। ৫৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি দীর্ঘ ৬ মাস ব্যথায় ভোগেন। আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় জানতে পারেন কিডনিতে পাথরের কথা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনিতে পাথর জমার সমস্যায় পিঠ ও কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন রোগী। প্রথমে ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিলেও রোগীর কোনো উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।
প্রাথমিক টেস্টে বাম কিডনিতে ক্যালকুলি ধরা পড়লে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ‘কি হোল’ সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেন।
‘কি হোল’ সার্জারি হলো এমন একটি আধুনিক সার্জারি পদ্ধতি যেখানে কাটা ছেঁড়া নেই বললেই চলে। এ পদ্ধতিতে খুব ছোট একটি ছিদ্রের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা।
এ পদ্ধতিতে ১ ঘণ্টার অপারেশনে ২০৬টি পাথর বের করতে সক্ষম হন তারা। বর্তমানে রোগী বীরমল্ল সুস্থ আছেন।
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, গরমে পানি কম পান করার প্রবণতার পাশাপাশি ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়াতে শরীর ড্রিহাইড্রেটেড বা পানিশূন্য হয়ে পড়ে।
শরীর পানিশূন্য হলে কিডনিতে ধীরে ধীরে পাথর তৈরি হয়। তাই এ সমস্যা সমাধানে প্রাপ্ত বয়স্কদের দৈনিক ৩ লিটার পানি পান করার বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা।
এ ছাড়া গরমের দিনে শারীরিক পরিশ্রম, খেলাধুলা বা ব্যায়াম করার সময় প্রতি ১৫-২০ মিনিট অন্তর অন্তর পানি ও জুস পান করা উচিত। এ সময় হাই প্রোটিনযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
যদি প্রোটিন বেসড ডায়েট করতে অভ্যস্ত হন তবে পানি পান করার প্রবণতাও বাড়াতে হবে। কেননা প্রোটিন পাচনে বেশি সময় লাগে। তাই এ সময় পানি কম পান করা হলে তা কিডনিতে চাপ প্রয়োগ করে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই কিডনিতে পাথর জমতে শুরু করে।
সূত্র: আনন্দবাজার