
বর্তমান ব্যস্তজীবনে কাজের চাপ যত বাড়ছে ততই একাকিত্ব জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠছে দিন দিন। যার পরিণাম হিসেবে আমরা নানা মানসিক সমস্যায় শিকার হচ্ছি। এই মানসিক স্বাস্থ্যকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলতে পারে কিডনির সমস্যা।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো রোগী হঠাৎ কিডনির সমস্যায় আক্রান্তের কথা জানার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
রোগীর মানসিক অবস্থা এ সময় মানসিক উদ্বেগ, অবসাদ, ক্ষুধামান্দ্য, অনিদ্রা, মনোযোগের সমস্যা, অবসাদ, দুশ্চিন্তার মতো একাধিক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। এমনকি দেখা দিতে পারে স্নায়ুরোগ ও স্মৃতিভ্রংশের মতো সমস্যাও।
গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী কিডনির সমস্যায় ভোগা রোগীদের মধ্যে ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশই মানসিক উদ্বেগের শিকার। তাই সাধারণ মানুষের তুলনায় কিডনির অসুখে ভোগা রোগীদের মানসিক অবসাদগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তিন থেকে চারগুণ বেশি বলে মনে করছেন গবেষকরা।
কিডনির অসুখে ভোগা রোগীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানসিক অবসাদ ও দুশ্চিন্তা কমাতে ধূমপান ও মদ্যপানে বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে। এতে কিডনি রোগীর অবস্থা আরও জটিল অবস্থা দিকে এগোতে পারে।
কিডনির অসুখে রেচনতন্ত্র ও সংবহনতন্ত্রের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার কারণে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এতে রোগীর মধ্যে স্নায়ু ও স্মৃতির সমস্যা তৈরি করে। এই সমস্যা ক্ষেত্রবিশেষে কিডনি রোগীকে ডিমনেশিয়া রোগের দিকেও ঠেলে দিতে পারে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা