
হোমোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সমর্থনে তৈরি একটি পোস্টার ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা নিয়ে লন্ডনের মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে উত্তাপ ছড়িয়েছে। পোস্টারের ইলাস্ট্রেশন হিজাব পরিহিত দুই নারীকে চুম্বন করতে উদ্দত হতে দেখা যাচ্ছে। মুসলিম কমিউনিটির প্রতিবাদের মুখে বিশ^ববিদ্যালয় কর্মকর্তারা পোস্টটি মুছে দিয়েছেন।
তারা বলছে, পোস্টটি যথাযথ নয় এবং অমর্যাদাকর। কারণ, হিজাবের ধর্মীয় ও আধ্যাত্বিক অর্থ আছে। একজন এ ব্যাপারে লিখেছেন, আমার ধর্ম নিয়ে এ ধরনের অপমানজনক বিদ্রুপের জন্য ওয়েস্টার্নকে ধিক্কার জানাচ্ছি।
প্রতিক্রিয়ায় বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথমে পোস্টারের পক্ষে তাদের অবস্থান ঘোষণা করলেও বুধবার ছবিটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানান একজন কর্মকর্তা।
ইমাম আব্দ আলফাতাহ তোয়াক্কাল নামে একজন মুসলিম নেতা ছবিটি যথাযথ নয় বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, অন্টারিওর মানবাধিকার বিলে প্রদত্ত সবার মানবাধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। অন্তর্ভুক্তি পোস্টারটির উদ্দেশ্য হলেও হয়েছে তার উল্টোটা। এর মধ্যে কেবল মুসলিম ধর্মীয় প্রতীক ব্যবহার করাটা ঠিক হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি মুসলিম নারীদের ছবি সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে একটি পিটিশনও করা হয়েছে। বুধবার সকাল পর্যন্ত পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন ২ হাজারজন।
পিটিশনে বলা হয়েছে, এটা এলজিবিটি কমিউনিটির ওপর আক্রমণ নয় এবং কুইয়ার মুসলিমের চর্চাকে মেনে নেওয়া। পোস্টারে যা দেখানো হয়েছে তা সত্যিই অমর্যাদাকর, অসংবেদনশীল।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টারটিকে সমর্থনও করেছেন অনেকে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, সমকামী মুসলিমের অস্তিত্ব স্বীকার না করার মতো পাগলামী আমি বিশ^াস করতে পারছি না।