8.8 C
Toronto
মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫

‌‌’এটাকে থামানোর কী কেউ নেই?’

‌‌’এটাকে থামানোর কী কেউ নেই?’ - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

বগুড়ার যুবক আশরাফুল আলম। সবার কাছে তিনি হিরো আলম নামে পরিচিত। অভিনয়, প্রযোজনা, গান নিয়ে আসেন নিজের মতো করে। তার কাজ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। যদিও এসবে তোয়াক্কা করেন না হিরো আলম। দু’দিন পরপরই বেসুরো কণ্ঠে বিভিন্ন গান গেয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবার জনপ্রিয় রবীন্দ্রসংগীত ‘আমারো পরানো যাহা চায়’ গানটি গেয়ে তোপের মুখে পড়েছেন।

হিরো আলমের রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উদীয়মান কণ্ঠশিল্পী মণি চৌধুরী। তার প্রশ্ন, ‘এটাকে (হিরো আলম) থামানোর কী কেউ নেই? আমাদের সংগীতাঙ্গন কী এতটাই অভিভাবকহীন?’

- Advertisement -

মণি লিখেছেন, ‘এই দেশের গানের ভাণ্ডার হাছন, লালন, শাহ আব্দুল করিম, নজরুল, রবীন্দ্রনাথের মতো গুণিজনদের গান দিয়ে সমৃদ্ধ। আরও কত গুণিজন লিখে গেছেন ভাটিয়ালি, জারি-সারি, পল্লীগীতি, দেশাত্মবোধকসহ আরও কত গান। আছে বিশ্বের দরবারেও বাংলা গানের উচ্চমর্যাদা। সেই দেশে একের পর এক গানকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে যাচ্ছে এই অসুস্থ মানুষটা (হিরো আলম)। একটা গান না, অসংখ্য গান। এবার রবীন্দ্রসংগীতকেও রেহাই দিলো না। এতো বড় সাহস হয় কি করে? রবীন্দ্রসংগীতকে এভাবে বিকৃত সুরে এতো জঘন্য গলায় গাওয়ার সাহস পায় কোথায়?’

হিরো আলমকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ঠিক করে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলতে পারে না, উনি হাজির হয়েছে রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে। ফাজলামিরও বোধহয় একটা লিমিট থাকা উচিত। এর মানসিক চিকিৎসা দরকার। বিকৃত মস্তিষ্ক বলেই দিনের পর দিন বিকৃত কিছু আবিষ্কার করে যাচ্ছে। সংগীত নিয়ে যেন অন্যরকম এক তামাশায় লিপ্ত হয়েছে এই অসুস্থ মানুষটা। নিজেকে যে কি ভাবে উনি, আল্লাহ ভালো জানেন। দর্শক যত কথাই বলুক, যত গালিই দেক তাতে তার কিচ্ছু যায় আসে না। কারণ লাজ-লজ্জার মাথাতো সেই কবেই ভর্তা করে খেয়ে বসে আছে। কোনো গান হিট হলেই সেটার বারোটা ওনার বাজাতেই হবে। নিজেতো আকথা,কুকথা যা মুখে আসে তাই গাচ্ছে।’

এই গায়িকা যোগ করেন, ‘কিছুদিন আগে হাছন রাজার গান গেয়েছে। এখন আবার রবীন্দ্রসংগীত। এভাবে যদি দিনের পর দিন সংগীতকে বিকৃত করতে থাকে তাহলে আমাদের সংগীত কতটা হুমকির মুখে পড়বে, সেটা এখনই ভাবাটা খুব দরকার। আর শুধু ও একা না, ওর পেছনে পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য একদল বিকৃত রুচির জঘন্যতম মানুষ আছে। যাদের ইন্ধনে ও এসব করার সাহস পায়।’

মণির ভাষ্য, ‘দেশে সংগীতশিল্পী, রবীন্দ্রসংগীতশিল্পীর বড্ড আকাল পড়েছে। তাই উনি গান গাওয়ার নামে সংগীতের পিন্ডি চটকাচ্ছে। এতো গুরুজন, এতো গুণীজন এত সংগীতবোদ্ধা এই দেশে। আপনাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, প্লিজ ওকে (হিরো আলম) থামান! ওর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। এভাবে আমাদের সংগীতের অপমান হতে দিয়েন না।’

সকলের প্রতি মণির আহ্বান, ‘আমি একজন সংগীতশিল্পী। গান আমার সন্তান। প্রতিবাদ করাটা আমার দায়িত্ব। তাই করেছি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য আপনার একটু সৎ সাহসই যথেষ্ট। এদেশের সংগীতকে নগ্ন করে ফেলছে যারা তাদের প্রশ্রয় দিয়েন না। প্লিজ প্রতিবাদ করুন। ধন্যবাদ।’

 

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles