
২০৪০ সাল নাগাদ কানাডা পোস্ট তার গাড়ির বহর পুরোপুরি বৈদ্যুতিক রূপান্তরের ঘোষণা দিয়েছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার জানানো হয়, পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনার ব্যাপারে সংস্থার যে প্রতিশ্রুতি তার অংশ হিসেবেই ১৪ হাজার গাড়িকে বৈদ্যুতিকে রূপান্তর। এজন্য ব্যয় হবে ১০০ কোটি ডলার।
কানাডা পোস্টের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডগ ইটিঙ্গার বলেন, পরিচালনের দিক থেকে আমরা খুবই বড় সংস্থা। আক্ষরিক অর্থেই আমাদের উপস্থিতি সবকানে। এ কারণে কার্বন ফুটপ্রিন্টও বেশি।
কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার আরেকটি পদক্ষেপ হচ্ছে ভবনের রিফিটিং, যন্ত্রপাতির আধুনিকায়ন এবং নতুন কার্বন নিঃসরণমুক্ত ভবন নির্মাণের মাধ্যমে এগুলোকে আরও বেশি জ¦ালানিদক্ষ করে তোলা। ইটিঙ্গার বলেন, এই পথরেখা করা হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে। মহামারি ও চিপ সংকটের কারণে বৈদ্যুতিক গাড়ি পাওয়াটা বর্তমানে অত সহজ নয়। প্রত্যেকেই একন বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাপারে আগ্রহী। অর্থাৎ এর চাহিদা আকাশচুম্বি হলেও সরবরাহ খুবই অপ্রতুল। কানাডা পোস্ট সম্প্রতি বৈদ্যুতিক গাড়ির বড় সরবরাহ আদেশ দিয়েছে এবং দরপত্র আহ্বান করছে।
বৈদ্যুতিক গাড়ি বহরের জন্য চার্জিং অবকাঠামো নির্মাণের দিকেও জোর দিচ্ছে কানাডা পোস্ট। ইটিঙ্গার বলেন, রাতারাতিই গাড়িগুলোর চার্জ দেওয়া প্রয়োজন, যাতে করে সকালেই সেগেুলো প্রস্তুত হয়ে যায়। গাড়ির আকারভেদে পুরোপুরি চার্জড হতে চার থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। আমরা পাবলিক চার্জিং অবকাঠামো ব্যবহার করতে পারি না। সে সুযোগ থাকলেও তা দক্ষতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার উপায় না।
ইটিঙ্গার বলেন, প্রাথমিকভাবে চার্জিং স্টেশনে গ্রিডের বিদ্যুতই ব্যবহার করবে কানাডা পোস্ট। এর অর্থ হচ্ছে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও কুইবেকের ডিপোগুলো সবার আগে এ সুবিধঅ পেতে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও কুইবেকের জ¦ালানির বড় অংশ আসে বিদ্যুৎ থেকে। অন্যদিকে আলবার্টা ও সাস্কেচুয়ানের জ¦ালানি মিশ্রণের বড় উৎস জীবাশ্ম জ¦ালানি।