
স্কটলিনসুইটপ্যাক গ্রোয়ার্স নামে অন্টারিওর মেক্সিকান এক কর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিকে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার জরিমানা করেছে সিমকো কোর্ট। কর্মীদের সুরক্ষায় যৌক্তিক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হওয়ার দোষে সোমবার এই জরিমানা ঘোষণা করা হয়।
গত সেপ্টেম্বরে প্রাদেশিক শ্রম মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শনের পর প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ আনা হয়। মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সম্মতিক্রমে একটি বিবৃতি অন্টারিও কোর্ট অব জাস্টিসে সরবরাহ করা হয়।
হ্যামিল্টন থেকে ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ভিট্টোরিয়ার নরফোক কাউন্টির একটি সবজির খামারে ২০২০ সালের বসন্তে ২০০ এর মতো কর্মী কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। ওই বছরের জুনে হয়ান লোপেজ চাপারো নামে ৫৫ বছর বয়সী এক মেক্সিকান কর্মীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আদালত ১৫ লাখ ডলার জরিমানা আরোপ করতে পারতো। সে তুলনায় ১ লাখ ২৫ হাজার ডলার অনেক কম। সে হিসাবে মহামারির মধ্যে দুর্বিসহ পরিবেশে কাজ করার ফলে অসুস্থ্য হয়ে পড়া অভিবাসী কর্মীর জন্য এটা ন্যায়বিচিার নয় বলে মন্তব্য করেন মাইগ্রেন্ট অওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্স ফর চেঞ্জের নির্বাহী পরিচালক সাইদ হোসেন। তিনি বলেন, মাল্টিমিলিয়ন ডলার করপোরেশনের কাছে জরিমানার এ পরিমাণ খুবই নগণ্য। এর ফলে এটা আবারও প্রমাণ হলো যে ফেডারেল সরকার পর্যায়ে পরিবর্তন দরকার। নিজেদের সুরক্ষার জন্য অভিবাসীদের প্রয়োজন স্থায়ী বাসিন্দার মর্যাদা।
স্কটলিন গ্রোয়ার্সের কর্ণধার স্কট বিডল এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। সাইদ হোসেন বলেন, সত্যি বলতে, রায়ে আমরা হতাশ। সামান্য এ জরিমানা স্কটলিনের মতো করপোরেশনের ব্যবসা পরিচালনার জন্য খরচমাত্র। যাদের প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে গিয়ে শত শত শ্রমিক অসুস্থ্য হন এবং একজন মারাও যান। তারপরও তারা অভিবাসী শ্রমিকদের পিঠে ভর করে লাভ করা অব্যাহত রেখেছে।
২০২০ সালে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের সময় স্কটলিন গ্রোয়ার্সের কর্মীরা একটি বাঙ্কহাউজে থাকতেন। সেখানে একসঙ্গে ৫০ জনের মতো ঘুমাতেন। খাবারও তাদের নিজেদের কিনে নিজেদেরই রান্না করে খেতে হতো। স্কটলিনের বিভিন্ন মাঠে বাস বা ভ্যানে করে তাদের আনা-নেওয়া করা হতো।