
ছয় বছর আগে অন্টারিওর অরোরা ছাড়ার পর শহরটি পাঁচবার বদলেছেন ২৩ বছর বয়সী রিলে কানিংহাম। গ্লোবাল নিউজকে তিনি বলছিলেন, এখানে বাস করা কতটা ব্যয়বহুল আমার তা বোধে আসে না।
যত জায়াগাতেই কানিংহাম গিয়েছেন সব জায়গাই অতিরিক্ত ব্যয়বহুল অথবা কোনো না কোনো সমস্যয়া পড়তে হয়েছে তাকে। ভ্যানকুভারে চলে আসার পর দুটি বেজমেন্টে বাস করেছেন কানিংহাম। এর একটিতে কোনো জানালা নেই। অন্যটিতে জানালা থাকলেও রান্নাঘর বা লন্ড্রি সুবিধা অনুপস্থিত। আরেকটি অ্যাপার্টমেন্টে ছিল মাকড়সার উপদ্রব।
কানিংহামের ভাষায়, অব্যশই নিজেকে বৈষম্যের শিকার বলে মনে হচ্ছে। এ ধরনের একটা ধারণা রয়েছে, তরুণ বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা হৈ হুল্লোড় ও বিশৃঙ্খলা করতে ভালোবাসে।
আরেকটি বাড়িতে ওঠার জন্য সপ্তাহে ছয়দিন দুটি চাকরি করছেন কানিংহাম। তারপরও শিক্ষা ঋণ পরিশোধের কারণে অর্থ বাঁচাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে। তিনি বলেন, আমি খুবই সতর্কতার সঙ্গে এবং পরিকল্পনামাফিক পরবর্তী পরিকল্পনা করছি। আশা করি এতে আমার আর্থিক বিপর্যয় হবে না। আমার ভালোবাসার শহরে আমি থাকতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।
সাম্প্রতিক ইয়ুথফুল সিটিজ রিয়েল অ্যাফোর্ডেবিলিটি সূচক অনুযায়ী, কানাডাজুড়েই ছোট ও বড় শহর তরুণদের জন্য সাশ্রয়ী নয়। মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কানাডার ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণরা এবং তাদের বেশিরভাগই কাজ করছেন সেবা খাতে। এ থেকে তারা যে রোজগার করছেন নগরীর জীবনযাত্রার ব্যয়ের চেয়ে তা মাসিক ৭৫০ ডলার কম।
তাদের বেতন জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির অনুপাতে বাড়ছে না। তরুণরা পূর্ণকালীন চাকরিতে নিয়োগ না পেলেও দুই-তৃতীয়াংশ কানাডিয়ান শহর এখনও সাশ্রয়ী নয়।
কানাডিয়ান শহরগুলো তরুণদের জন্য কতটা ব্যয়বহুল তা দেখেছেন কেলি ক্যাডওয়েলের মতো অন্টারিওর গুয়েল্ফের রিয়েলটররা। গ্লোবাল নিউজকে তিনি বলেন, একাধিক কারণে এটা কঠিন। প্রথম কারণটা আমার মতে, বাড়ির জোগান। ভালো ভাড়া বাড়ির ঘাটতি রয়েছে বলে সবসময়ই আমাদের কাছে মনে হয়। এমন কোনো শহরের কথা আমার জানা নেই যেখানে ভাড়া বাড়ির পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এটা ঠিক তার বিপরীত। আরেকটি বাধা হচ্ছে দাম। প্রকৃত ভাড়া আকাশচুম্বি অবস্থায় পৌঁছেছে। বিশেষ করে তরুণদের জন্য। তারা যদি বাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন অথবা ডাউন পেমেন্টের জন্য সঞ্চয়ের কথা ভেবে থাকেন সেটাও ধরাছোঁয়ার বাইরে।