
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে প্রেম। বাকি ছিল দুজন দুজনকে সরাসরি দেখার। তাই প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বোরকা গার্লস হোস্টেলে গেলেন যুবক। তবে ধরা পেরে তার কপালে জুটল পিটুনি। আজ শুক্রবার এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়, মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের গোরাবাজারের বাসিন্দা সাগির জিয়ার গার্লস হোস্টেলে থাকতেন তরুণী। তিনি জানিয়েছেন, বোরখা পরা একজন তার খোঁজ নেন। বোরখা পরিহিত যুবককে তরুণী ভেবে ঘরে যাওয়ার অনুমতি দেন তিনি।
এদিকে, প্রেমিকার ঘরে ঢুকতে জুতা খোলেন ওই যুবক। পুরুষের জুতা দেখে আশপাশের কক্ষের তরুণীরা বিষয়টি টের পেয়ে যান। পরে জোর করে ওই ছাত্রীর ঘরে গার্লস হোস্টেলের প্রায় সবাই ঢুকে পড়েন। টেনেহিঁচড়ে যুবককে ঘর থেকে বের করা হয়। এ সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাকে। পরে খবর পেয়ে বহরমপুর থানা-পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গার্লস হোস্টেলের মালিক বলেন, ‘ওই যুবক মেদিনীপুরের বাসিন্দা। কলকাতা থেকে ট্রেন চড়ে তিনি বহরমপুরে এসেছিলেন। ছাত্রীদের হোস্টেলে পুরুষদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। তাই বোরখা পরে ওই যুবক ঘরে ঢুকেছিলেন।’
এর আগে গত ২ মে বহরমপুরে প্রেমিকের এলোপাতাড়ি কোপে মারা যায় গার্লস হোস্টেলের এক ছাত্রীর। সেই ঘটনার পর গার্লস হোস্টেলগুলোর নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এরপরও বোরখা পরে গার্লস হোস্টেলে যুবক ঢুকে পড়ার ঘটনায় আরও একবার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।