12.8 C
Toronto
বুধবার, মার্চ ১৯, ২০২৫

মুক্তি পেলেন হুয়াওয়ের মেং ওয়ানঝু

মুক্তি পেলেন হুয়াওয়ের মেং ওয়ানঝু - the Bengali Times
মেং ওয়ানঝুছবিএপির সৌজন্যে

জালিয়াতির অভিযোগে কানাডায় গৃহবন্দী চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝু তিন বছর পর মুক্তি পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতার পর কানাডার আদালতে উপস্থিত হলে তাকে মুক্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। মার্কিন বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সমঝোতায় মামলার বিচার প্রক্রিয়া মুলতবি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেং ওয়ানঝুর বিরুদ্ধে মামলা মুলতবি থাকবে এবং যদি তিনি আদালত প্রদত্ত শর্তাবলী মেনে চলেন, তাহলে শেষ পর্যন্ত মামলাটি বাতিল হয়ে যাবে।

হুয়াওয়ে নির্বাহী যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ভ্যানকুভারে গ্রেপ্তার হন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। হুয়াওয়ে নির্বাহীর এ গ্রেপ্তারে কানাডার সঙ্গে চীনের সম্পর্কে ফাঁটল ধরে এবং পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে মাইকেল কোভরিগ ও মাইকেল স্প্যাভর নামে দুই কানাডিয়ান নাগরিককে গ্রেপ্তার করে চীন। মেংয়ের সঙ্গে এই গ্রেপ্তারের সম্পর্ক নেই বলে চীন দাবি করে এলেও মেংয়ের মুক্তি দুই কানাডিয়ানের জন্য সুবিধাজনক হবে বলে মোটা দাগে ইঙ্গিত দিয়ে আসছিল তার।

- Advertisement -

৩৪ মাসের আইনী লড়াই শেষে হুয়াওয়ের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝু শুক্রবার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সুপ্রিম কোর্ট থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। মেংকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যার্পণ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সহযোগী প্রধান বিচারপতি হিদার হোমস এক আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। আদেশে জামিন শর্ত বাতিল করার পাশাপাশি কানাডায় তার বিরুদ্ধে মামলার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি টানা হয়েছে।

মেংকে বিচারপতি হোমস বলেন, পুরো বিচার প্রক্রিয়াজুড়েই আপনি সহযোগিতামূলক ও ভদ্র আচরণ করেছেন। সেজন্য আদালত আপনার প্রশংসা করার পাশাপাশি আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।

জবাবে মেংও বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানান। মেং আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসার সময় তার আইনজীবী ও সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ এবং পরস্পরকে আলিঙ্গন করতে থাকেন। আদালতের বাইরে দেওয়া এক বিবৃতিতে মেং বিচারক, ক্রাউন লইয়ার ও সংযম প্রদর্শন করায় কানাডিয়ান জনগণকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, অসুবিধার জন্য আমি দুঃখিত।

এই মামলাটি কিভাবে তার জীবনকে ওলোট-পালোট করে দিয়েছে সে কথাও বলেন মেং। তবে আদালতের পেশাদারিত্ব ও কানাডিয়ান সরকারের আইনের শাসন সমুন্নত রাখার প্রশংসা করেন তিনি। মেং বলেন, একজন মা, একজন স্ত্রী ও কোম্পানির একজন নির্বাহী হিসেবে আমার জন্য সময়টা ছিল খুবই বিব্রতকর। কিন্তু আমি বিশ^াস করি, সব মেঘের শেষেই রূপালি আলো থাকে। এটা সত্যিই আমার জীবনে অবিশ^াস্য এক অভিজ্ঞতা। যত বেশি কঠিনকে মোকাবেলা করবেন, তত বেশি উন্নতি করবেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles