0.1 C
Toronto
মঙ্গলবার, মার্চ ১৮, ২০২৫

তরুণ-তরুণী পলাতক, প্রেমিকের মাকে পুড়িয়ে মারলেন প্রেমিকার মা-চাচিরা

তরুণ-তরুণী পলাতক, প্রেমিকের মাকে পুড়িয়ে মারলেন প্রেমিকার মা-চাচিরা
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহ নগরীতে ছেলের প্রেমের বলি হয়েছেন লাইলী আক্তার (৩৮) নামে এক নারী। প্রেমিকার মা-চাচিরা ছেলের (প্রেমিক) মাকে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মারধর শেষে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। দগ্ধ নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পরে অবস্থার অবনতি হলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ৮ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

- Advertisement -

পুলিশ জানায়, নগরীর চরঈশ্বরদিয়া পূর্বপাড়ার আবদুর রশিদ একটি বাসে সহকারীর কাজ করেন। তার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (২০) এসএসসি পাস করে একটি পার্সের দোকানে কাজ করেন।

প্রতিবেশী উচ্চ মাধ্যমিকপড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় সিরাজুলের। ওই ছাত্রীর বাড়ি একই এলাকায়। প্রেমের সম্পর্কের কারণে ১৯ জুন বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সিরাজুল ও তার প্রেমিকা। ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর পরিবার থানায় কোনো জিডি করেনি।

প্রেমিকাকে নিয়ে ছেলে পলাতক থাকায় মঙ্গলবার প্রেমিক সিরাজুলের বাড়িতে যান কয়েকজন নারী। ওই প্রেমিকার মা ও দুই চাচি তাদের মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে সিরাজুলের মা লাইলী আক্তারের ওপর। একপর্যায়ে লাইলীকে মারধর শুরু করেন ওই তিন নারী।

পরে লাইলীর হাত-পা বেঁধে শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তারা। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে পালিয়ে যান প্রেমিকার মা ও দুই চাচি। আগুন নিভিয়ে লাইলীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় লাইলীর স্বামী আবদুর রশিদ বাদী হয়ে তিন নারী, ওই ছাত্রীর বাবা, তার ভাই কামাল মিয়া, জাহাঙ্গীর আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

নিহতের বাবা আবদুর রশিদ জানান, ‘তার স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হাত-পা বেঁধে তার স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি।’

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, প্রেমের কারণে কলেজপড়ুয়া মেয়েটি চলে যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানায়নি মেয়ের পরিবার।

বাড়িতে গিয়ে প্রেমিকের মাকে প্রেমিকার পরিবারের লোকজন মারধর শেষে হাত-পা বেঁধে আগুন দেয়। বিষয়টি তাদের কোনো পক্ষই না জানালেও হাসপাতালে থেকে জানার পর লাইলীর স্বামীকে থানায় ডেকে মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles