
অটোয়ার কমিউনিটি নার্স হিসেবে লিজ জেসমিন তার চাকরির নমনীয়তার প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু বাড়ি ও অফিসে কাজের সংমিশ্রণের পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন সূচি অফিস থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা তার জন্য কঠিন করে তুলেছে।
কী করতে হবে তা খুব একটা স্পষ্ট নয়। উদাহরণস্বরূপ, রাতের শিফটে কাজ করা কোনো সহকর্মীর যদি কোনো প্রশ্ন থাকে অথবা রাত ১০টার সময় কেউ তাকে ইমেইল করেন তাহলে তিনি তার উত্তর দেবেন কিনা এইসব।
এই বিষয়গুলো অর্থাৎ অফিস থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করার নতুন নীতি তার কর্মক্ষেত্র কীভাবে দেখে সেদিকে তাকিয়ে আছেন জেসমিন। তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে এখানে যথেষ্ট অস্পষ্টতা রয়েছে। নীতিটি বাস্তবায়ন শুরু হলে এসব অস্পষ্টতার কিছু কিছু দূর হবে বলে আশা করা যায়।
টরন্টোর ইমপ্লয়মেন্ট আইনজীবী ডেবোরাহ হাডসন বলেন, ওয়ার্ক-লাইফ ভারসাম্যের ইস্যুটি মীমাংসা করা জরুরি। কারণ, দুই বছরের মহামারি কাজের চিরাচরিত ধরন ভেঙে দেওয়ায় অনেকের কাছেই হাইব্রিড ওয়ার্ক স্থায়ী হয়ে গেছে। তবে এর সত্যিকারের প্রবাভ রাখার সুযোগ অন্টারিওর আইন হারিয়ে ফেলেছে। কারণ, নিয়োগদাতার নীতিতে কি থাকা উচিত তারা তা আন্দাজ করতে পারেনি। ধারণাটি ও এর উদ্দেশ্য আমার কাছে চমৎকার মনে হয়েছে। এর প্রকৃত অর্থ কী?
২ জুনের সময়সীমার আগে ব্যবসায়ীদের মধ্যেও একই প্রশ্ন উকি দিয়েছিল। এ নিয়ে দ্য কানাডিয়ান ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেস (সিএফআইবি) একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। এ ধরনের নীতি বাস্তবায়নের প্রয়োজন আছে বলে মমনে করে না সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ২৫ জনের বেশি কর্মী নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৩৩ শতাংম ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সময়সীমার আগেই নীতিটি প্রয়োগ করেছে বলে জানায় মাত্র ১৬ শতাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সিএফআইবির প্রাদেশিক বিষয়ক পরিচালক জুলি কিউয়েসিনস্কি বলেন, এ ব্যাপারে করণীয় বুঝে উঠতে না পারা অনেক কোম্পানির কাছ থেকেই আইনটির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার কথা শুনেছি। কিন্তু কীভাবে এটা করা হবে সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এর ভালো-মন্দ দুটি দিকই আছে। একদিকে আপনি নমনীয়তা চান, কারণ আপনি অদক্ষ নন। অন্যদিকে এটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সত্যিই বাজে পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারে। কারণ, তখন তাদের মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে যে, নীতিটি চালু করতে আপনার কী আছে যা ইমপ্লয়মেন্ট স্ট্যান্ডার্স অফিসারের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে, যোগ্য কত সংখ্যক নিযোগদাতা এ সংক্রান্ত নীতি প্রস্তুত করেছে সে সংক্রান্ত উপাত্ত তাদের কাছে নেই। কারণ, এ তথ্য দাখিলের কোনো বাধ্যবাধকতা নিয়োগাদাতাদের জন্য নেই। কোনো নিয়োগদাতা নীতি তৈরিতে ব্যর্থ হলে তাকে জরিমানা করার বিধান আছে। কিন্তু মন্ত্রণালয় চলছে, ‘প্রথমদিকে শিক্ষা’ নীতিতে।