
৯২ বছ বয়সী সাবেক এক পাদ্রীর বিরুদ্ধে ম্যানিটোবার ফোর্ট আলেক্সান্ডার রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ আনা হয়েছে। দশকব্যাপী তদন্তের পর আর্থার মাসে নামে ওই পাদ্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগটি আনা হলো।
রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ শুক্রবার জানায়, স্কুলের ১০ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। মাসে স্কুলের একজন কর্মী থাকার সময় ১৯৬৮ থেকে ১৯৭০ সালের মধ্যে গটনাটি ঘটে।
ফোর্ট আলেক্সান্ডার কমিউনিটিতে ১৯০৫ সালে স্কুলটি খোলা হয় এবং ১৯৭০ সালে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ডেরেক হেন্ডারসন বলেন, এই গ্রেপ্তার পুরনো ক্ষতকে সামনে এনে দিয়েছে। অনেক দিন ধরেই লোকজন এ নিয়ে কথা বলে আসছিলেন। সমাজ কী তাদের কথা বিশ্বাস করবে? সেটা সব সময়ই কঠিন বিষয়।
আবাসিক স্কুলটিতে যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি ২০১০ সালে আরসিএমপিকে জানানো হয়। তদন্তকালে কর্মকর্তারা উত্তর আমেরিকাজুড়ে ৭০০ এর বেশি মানুসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ৭৫ জন ভুক্তভোগী ও সাক্ষীর জবানবন্দি নেন। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন ৮০০ জনের বেশি তদন্তকারী।
পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, তদন্ত হচ্ছে স্কুলের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের তথ্য যেমন আছে, একইভাবে আছে শিক্ষকদের তথ্য।
আরসিএমপির সর্জেন্ট পল ম্যানেগার বলেন, ভুক্তভোগীরা তাদের অনুভুতিতে যে আঘাত পেয়েছেন বহু বছর ধরে তাদেরকে তা বয়ে বেড়াতে হবে। তদন্তে আবাসিক স্কুলে এ ধরনের আরও ভুক্তভোগী ও অন্যায়কারীকে পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে, যথেষ্ট প্রমাণ নেই অথবা ভুক্তভোগীরা অভিযোগ আনতে চান না। এটা তাড়িয়ে বেড়ানোর মতো অভিজ্ঞতা। কেউ কেউ এ থেকে মুক্তি চান না এবং আমরা বিষয়টি বুঝতে পারি।
মাসেকে উইনিপেগে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাকে আদালতেও তোলা হয়।
ম্যানিটোবার মোহাফেজখানা সোসিয়েতে হিস্টোরিক ডি সেইন্ট-বনিফেসের সংকলিত তথ্য অনুযায়ী, মাসের জন্ম ১৯২৯ সালে ফার্ল্যান্ড সাস্কে। তার প্রথম কর্মজীবন ছিল উত্তর অন্টারিওর ফোর্ট ফ্রান্সিস রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে। সেখানে তিনি ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন। এরপর ১৯৭০ সালে তিনি স্কুলে ফিরে আসেন এবং বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আবাসনের দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ফোর্ট ফ্রান্সিসের বাইরে থাকাকালীন আরও কিছু স্কুলেও দায়িত্ব পালন করেন মাসে।