0 C
Toronto
সোমবার, মার্চ ১৭, ২০২৫

৯৫ শতাংশ ভোটার জলবায়ু পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন

৯৫ শতাংশ ভোটার জলবায়ু পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন
এরিন ওটুলের জলবায়ু পরিকল্পনা এখনও অন্য দলগুলোর চেয়ে কম উচ্চাকাক্সিক্ষ

পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন নভেম্বরের গোড়ার দিকে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলনকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ পদক্ষেপ ও দরিদ্র দেশগুলোর সহায়তায় বৈশ্বিক অর্থায়নের জন্য কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো ধনী দেশগুলোর উপর চাপ বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

প্রথমবার নির্বাচনে জয়লাভের পরের পর ২০১৫ সালে জলবায়ু চুক্তিতে অংশ নিয়েছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি ও তার নতুন সরকারের জলবায়ু নীতি দেশে ও দেশের বাইরে সুবিধাজনক বলে বিবেচিতও হয়েছিল। তবে সেই সুনামে এখন কলঙ্কের দাগ। কারণ, কানাডা এখন যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করছে তা ২০১৫ সালের তুলনায় বেশি। এছাড়া তেল-গ্যাস খাতের নিঃসরণ হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে হতাশাও রয়েছে।

- Advertisement -

জলবায়ু পরিবর্তনের বিপক্ষে লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দলটিকেই দুই বছর প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন ভোটার বেছে নিয়েছিলেন। ওই নির্বাচনের ফলাফলকে তাই বিজয় হিসেবে প্রশংসা করেছিল পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। সোমবারের নির্বাচনের ফলাফল প্রায় সেভাবেই ফিরে এসেছে। তবে বড় ধরনের একটা তফাৎও আছে।

এনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্সের নির্বাহী পরিচালক টিম গ্যারি বলছেন, ৯৫ শতাংশ কানাডিয়ান জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। একমাত্র পিপল’স পার্টি কানাডারই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই।

২০১৯ সালে কনজার্ভেটিভ পার্টির জলবায়ু পরিকল্পনায় বিস্তারিত ও উচ্চাকাক্সক্ষা না থাকায় বড় ধরনের সমালোচনার মুখে পড়েছিল। কনজার্ভেটিভ নেতা এরিন ও’টুল সেটাকে দুর্বলতা হিসেবে স্বীকারও করেছেন। ২০২০ সালে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের পর জলবায়ু পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েছেন তিনি। নির্বাচনের কয়েক মাসে জলবায়ু পরিকল্পনা প্রকাশও করেছেন, যাতে কার্বন প্রাইসিং অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এক দশক আগেও একে সব কিছুর ওপর কর আরোপ হিসেবেই দেখতো কনজার্ভেটিভ পার্টি।

এরিন ও’টুলের জলবায়ু পরিকল্পনা এখনও অন্য দলগুলোর চেয়ে কম উচ্চাকাক্সিক্ষ। তবে এ নিয়ে কাজ করার আরও সুযোগ আছে বলে জানান পেম্বিনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইসাবেল টারকোট। তিনি বলেন, যদিও জলবায়ু ইস্যুতে একেক পার্টি ও একেক গোষ্ঠীর অগ্রগতির একেক ধরনের মানদ- আছে, তারপরও সব দলেরই ২০১৯ সালের তুলনায় শক্তিশালী জলবায়ু প্ল্যাটফরম রয়েছে। জলবায়ু পরির্বতন নিয়ে কাজের প্রতিশ্রুতি রাজনৈতিক সুবিধা পেতে কেবলমাত্র ভোটার টানার ইস্যু নয়। আমার কাছে এটা একটা বিজয় বলে মনে হয়।

গ্যারি ও টারকোট উভয়ের মতেই, নষ্ট করার মতো, ফেডারেল কর্তৃত্ব নিয়ে আইনী লড়াইয়ের মতো ও অসীম পরামর্শ করার মতো সময় এখন নয়। এটা হলে উচ্চাকাক্সক্ষার চাকা পেছনের দিকেই কেবল ঘুরবে।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের আগে সংস্থার মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, বিশ^ এখন খাদের কিনারে আছে এবং ভুল পথে চালিত হওয়ার ক্ষতি বহন করার সামর্থ্য আমাদের নেই। গ্যারি বলেন, আমাদের হাতে কোনো সময় নেই।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles