
প্রধান জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তেরেসা ট্যাম বলেছেন, এ বছরের শুরুর দিকে যারা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের বিষয়টিই কেবল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের মধ্যে আছেন লং-টার্ম কেয়ার হোম বা ঘনবসতিপূর্ণভাবে বসবাসকারী বয়স্ক ব্যক্তিরা। সুতরাং আশা করছি, কমিটি শিগগিরই এই গোষ্ঠীটি নিয়ে তাদের মতামত জানাবে।
তিনি এমন এক সময় এ ঘোষণা দিলেন যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৬৫ বছর ও তার বেশি বয়সী, স্বাস্থ্য জটিলতা আছে এমন ব্যক্তি ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কর্মরত প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে বুস্টার ডোজ অনুমোদন করেছে। ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অতিরিক্ত ডোজ প্রয়োগের অনুমোদনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বৃহস্পতিবার এটি গ্রহণ করেছে।
এদিকে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের বাড়তি ডোজ প্রয়োগ নিয়ে হালনাগাদ তথ্য কানাডিয়ানরা শিগগিরই পাবেন বলে জানিয়েছেন ডা. তেরেসা ট্যাম। শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের বাড়তি ডোজের প্রয়োজন হবে কিনা সে সংক্রান্ত পরামর্শ ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশন (এনএসিএ) শিগগিরই দেবে বলে আমি আশা করছি।
ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনই অতিরিক্ত ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে। ছয় মাস আগে যারা ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এমন ২ কোটি মার্কিনী অতিরিক্ত ডোজ পাবেন। ট্যাম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উপাত্তের পাশাপাশি নিজস্ব পদ্ধতিও প্রয়োগ করছে। কারণ, কানাডার ভ্যাকসিনেশনের ধরণ আলাদা। উদাহরণ হিসেবে আমরা এমআরএনএ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখানে কোনো তফাৎ নেই। যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কানাডিয়ানের মধ্যে দুই ডোজের মধ্যকার ব্যবধান বেশি।