
সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে ভারতীয় অভিনেত্রী সুস্মিতা সেন ও আইপিএলের সাবেক চেয়ারম্যান ললিত মোদীর প্রেম নিয়ে। এতে দু’জনের পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতামত দিচ্ছেন নেটাগরিকরা। তাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা বিষয়টিকে ভালভাবে নেননি। ফলে তারা অনেক কদর্য মন্তব্য করেছেন দু’জনকে নিয়েই।
অনেকেই বলছেন- যদিও সুস্মিতা সেন ৪৬, আর ললিত মোদী ৫৬। তাই বলে পরস্পর কাছাকাছি আসতে পারেন না? এই বয়সে মনের মিল হতে পারে না? তাদের রসায়ন নিয়ে লোকজন এত হাসাহাসি করছে কেন? এবার সেই প্রশ্নই তুললেন ক্ষুব্ধ ললিত।
এবার গর্জে উঠে প্রাক্তন আইপিএল কর্তা লিখলেন, “আমরা কি এখনও মধ্যযুগে বাস করছি? দু’জন মানুষ বন্ধু হতে পারে না? সময় ভাল কাটলে তাদের মধ্যে জাদু কাজ করতে পারে না? মিডিয়া আমাদের এইভাবে ট্রোল করছে কেন? আমার উপদেশ হল- আপনারা নিজেরা বাঁচুন এবং অন্যদের বাঁচতে দিন। সঠিক খবর লিখুন, গসিপ নয়। তথ্য যদি সঠিকভাবে না জানেন, আমায় বলুন, আমি বলে দিচ্ছি। মিনাল মোদী আর আমি ১২ বছরের বিবাহিত জীবনে সেরা বন্ধুত্বে ছিলাম। তিনি আমার মায়ের বন্ধু ছিলেন না। এই কথাটা কেন রটেছে জানি না! তবে এই ধরনের বিকৃত মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে। আসলে যখন কারও ভাল হয়, বাকিরা সহ্য করতে পারেন না।”
ললিত আর সুস্মিতা যে সম্পর্কে জড়িয়েছেন সে কথা ১৪ জুলাই ঘোষণা করেছিলেন তারা। একসঙ্গে ছবি দিয়ে ললিত ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এই সম্পর্ক বিয়ে অবধি গড়াতে পারে। তারপর পরই যুগলের মালদ্বীপ সফরের একগুচ্ছ ছবি সামনে আসে। তার মধ্যে কয়েকটি ছবি সুস্মিতাকে ট্যাগ করতে গিয়ে ললিত ভুল করে ফেলেন। অভিনেত্রীর প্যারোডি প্রোফাইলে ট্যাগ হয়ে যায়। সে নিয়ে আবারও হাসাহাসি। যার জবাবও কড়াভাবেই দিলেন সুস্মিতার প্রেমিক। বললেন, “না হয় ভুল করেছিলাম। তা নিয়ে এ রকম করতে হবে?”
সুস্মিতাকেও যে অনেকে ঘৃণার চোখে দেখছেন এ কথা অজানা নয় ললিতের। লোকে তাকে অপরাধী ভাবে, তিনি কলঙ্ক নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন— এমন নানা বিষয় নিয়েও সোচ্চার হলেন ললিত।
লিখেছেন, “কে বলে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি? আমি সব সময় মাথা উঁচু রেখেছি। আপনারা আমায় পলাতক বলুন, আসামি বলুন, তবে কখন কোন আদালত আমায় দোষী সাব্যস্ত করেছে সেটা বলতে পারবেন? বলুন দেশের আর একজনও এমন সুন্দর কিছু বানিয়ে মানুষকে উপহার দিয়েছে? কিন্তু আমি পেরেছি। সবটা একা করেছি। সেই সঙ্গে বলি, হীরার চামচ মুখে দিয়ে জন্মেছি আমি! আমায় ঘুষ নিতে হয় না। আমি যখন বিসিসিআইতে যোগদান করি তখন ব্যাংকে ৪০ কোটি রুপি ছিল। ২০০৫ সালে আমি আমার জন্মদিন, ২৯ নভেম্বর কাজে যোগ দিয়েছিলাম। জানেন আমাকে নিষিদ্ধ করার সময় ব্যাংকে কত ছিল? ৪৭,৬৮০ কোটি রুপি। আমি কোথা থেকে শুরু করব কেউ ভেবেছিল?”