
আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরের দল এখনও ঘোষণা করেনি বিসিবি। দলটা নিয়ে দেন-দরবার চলছে বিস্তর। তবে শুক্রবার বিকেলেই সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
কারণ এদিন দুপুরেই রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস, জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন ও প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে আসছে বড়সড় পরিবর্তন। বিশেষ করে নেতৃত্বের পরিবর্তন। এই ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব হারাতে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
শুধু নেতৃত্বই নয়, টি-টোয়েন্টি দলে জায়গাও হারাচ্ছেন তিনি। কারণ দলের হারের সঙ্গে তার পারফরম্যান্স সন্তোষজনক নয়। এই ফরম্যাটে গত ১৩ ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র একটি ম্যাচ।
বৈঠক শেষে সন্ধানাগাদ আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। সূত্র জানায়, টেস্টের পর ক্ষুদে সংস্করণে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে সাকিব আল হাসানের হাতে। তার ডেপুটি হবেন নুরুল হাসান সোহান।
জানা গেছে, ক্যারিবিয়ান দ্বীপ থেকে চুপিসারে দেশে ফিরেছেন সাকিব। এখন মাগুড়া থেকে এখন ঢাকাতেই অবস্থান করছেন তিনি। তার সঙ্গে বিসিবি সভাপতির এ সংক্রান্ত কথাও হয়েছে। বিসিবি চায়, জিম্বাবুয়ে সফর থেকেই টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব তার হাতে তুলে দিতে।
কিন্তু সাকিব চান, এশিয়া কাপ থেকে অধিনায়কত্ব করতে। জিম্বাবুয়ে সফরে যেতে চান না তিনি। কারণ আগেই এই সফর থেকে ছুটি নিয়েছেন বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার।
এমনও হতে পারে, সাকিব না গেলে জিম্বাবুয়ে সফরে সোহানকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করে পাঠাবে বিসিবি।
প্রাথমিকভাবে জিম্বাবুয়ে সফর পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহকে অধিনায়ক রাখার চিন্তা হয়েছিল বটে। তবে সেটাও এখন বাতিল হয়ে গেছে। তাই নেতৃত্বে মাহমুদউল্লাহ অধ্যায় শেষ হয়ে আসছে, এমনটা বলাই যায়।
সূত্রের দাবি, মাহমুদউল্লাহ-মুশফিককে ছেঁটে ফেলে নেতৃত্বে সাকিব-সোহান জুটি গড়ে জিম্বাবুয়ে সফরের টি-টোয়েন্টি দল গড়ে ফেলেছেন নির্বাচকরা। এখন বোর্ড সভাপতির অনুমোদন শেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা শুধু বাকি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সাকিবের চোটের কারণেই পাঁচ ম্যাচের জন্য অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পরে ২০১৯ সালে সাকিব নিষিদ্ধ হলে পাকাপাকিভাবে রিয়াদের কাঁধেই দায়িত্ব তুলে দেয়া হয়। মাহমুদউল্লাহর অধীনেই সবচেয়ে বেশি ৪৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, পেয়েছে সর্বোচ্চ ১৬টি জয়।
এছাড়া অধিনায়ক হিসেবে ৪৩ ম্যাচের ৪২ ইনিংসে ২৩.০০ গড়ে মাহমুদউল্লাহর রান ৭৮২, স্ট্রাইকরেট ১১২.৬৮, সর্বোচ্চ ৫২। অধিনায়ক হওয়ার আগের ৭৫ ম্যাচে ৬৮ ইনিংসে ২৩.৭৯ গড়ে ১২৬১ রান করেছেন তিনি, স্ট্রাইকরেট ১২১.৩৬, সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রান।