
নয়জন শিল্পীর কাজ প্রতি বছর ফলো করি। কানাডার নানা শহর থেকে তারা বছরে ১বার টরন্টো আউটডোর আর্ট ফেয়ারে আসেন। স্টলে নিজেদের ছবি মেলে দেন খোলা আকাশের নিচে ঘুরতে থাকা হাজারে হাজার দর্শকের সামনে।নয়জনের নাম লিখে লেখা না বাড়িয়ে গর্বের সাথে বলি বাংলাদেশী কানাডিয়ান তরুণ শিল্পী সুমাইয়া যোগ হয়েছেন এবার আমার পছন্দের শিল্পী তালিকায়। সংখ্যা দাড়ঁলো দশ।
সুমাইয়া ২০২২ এই প্রথম যুক্ত হলেন তার চমৎকার সব ওয়াইল্ড লাইফ পোট্রট ছবি নিয়ে। টরন্টো শহরের ডাউন টাউনের ঠিক মধ্যিখানে সিটি হলের উঁচু দুই বিল্ডিং যেন বাঁকা হয়ে দুই হাত বাড়িয়ে পরস্পরকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে থেমে গেছে। বিল্ডিং দুইটির চার ধারে অনেকটা খালি স্পেসেরই নাম নাথান ফিলিপস স্কোয়ার। যেখানে এই আউটডোর ছবিমেলা শুরু হয়ে ছিলো ১৯৬১ সালে এবং কালেক্রমে বড় হতে-হতে বিশাল আকার ধারণ করছে এখন। এবার ৪০০আর্টিস্টে স্টল বসে ছিলো। কোভিডের কারণে গত ২বছর বন্ধ থেকে আবার শুরু হয়েছে। শুরু হয়ে ছিলো ১দিনের ৩-৪ করে এবার ৮দিনে এসে দাড়িয়েছে ৮-১৭ জুলাই ২০২২।
গত রবিবার খুবই ব্যস্ত দিন ছিলো আমার জন্যে আউটডোর আর্ট ফেয়ারের শেষ দিন তেমনি সেন্টর আইল্যান্ড এককালে ভূমিকম্পে টরন্টো ডাউন টাউন থেকে ছিটকে অন্টারিও লেকের জলে একটু সরে গেছে। পনেরো মিনিটের ফেরীতে এখন পারাপার করতে হয়।সেখানে ছিলো টরন্টো ইসকন আয়োজিত কৃষ্ণমেলা শনিবারে টরন্টোর এভিনিউ রোড ইসকন থেকে ইয়ং স্ট্রিট হয়ে বিশাল রথযাত্রা এসে থামে হার্বারফ্রন্টে তারপর ফেরী চড়ে পার হয়ে আসে সেন্টার আইলান্ডে জমে ওঠে মেলা।দারুণ মজার দুপুরের খাওয়া ফ্রী প্রসাদ। গত রোববার দিনটি ভাগ করে নিয়ে ছিলাম,অর্ধেক দিন আউটডোর ছবিমেলায় বাকিটা সেন্টার আইলল্যান্ডে কৃষ্ণমেলায়।লিখবো পরে কখনো।আগামী কাল রোববার দেখি কি হয়!
স্কারবোরো, অন্টারিও, কানাডা