
কখনো বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটনমন্ত্রীর আত্মীয়, কখনো আবার নিজেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক হিসেবে পরিচয় দেন তিনি। এসব ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করেই বিমানে চাকরি দেওয়ার নামে শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। সোমবার ওই নারী প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
নগরের আকবরশাহ থানার নন্দন আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মমতাজ বেগম চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের শিবেরহাট গ্রামের ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী। তিনি নন্দন আবাসিক এলাকার ১০৩ নম্বর ভবনে ভাড়া থাকেন।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মোহাম্মদ আলী হোসেন বলেন, বিমানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মমতাজ শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার কাছে প্রতারিত হওয়া কয়েকজন আমাদের কাছে অভিযোগ করে। তদন্তে নেমে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তাকে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে প্রতারিত লোকজনের ভিড় জমে যায় গোয়েন্দা কার্যালয় এলাকায়।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দর এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে এয়ার হোস্টেজসহ বিভিন্ন পদে চাকরির প্রস্তাব দিতেন মমতাজ। বিশ্বাস জন্মানোর জন্য টাকা নেওয়ার আগে চাকরি প্রত্যাশীদের চাকরিতে যোগদানের ফরম, অঙ্গীকারনামা, পরিচয়পত্র এবং বিমানের নির্ধারিত পোশাক ও ব্যাচ সরবরাহ করতেন। এরপর বিমানে করে তাদের ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যেতেন। সেখানে বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে তাদের পরিচয় করিয়ে দিতেন। চাকরি প্রত্যাশিরা মনে করতেন তাদের চাকরি হয়ে গেছে। তখন তাদের কাছ থেকে দুই থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিতেন তিনি।
এরপর মোবাইল বন্ধ করে সিম ও বাসা পাল্টে ফেলতেন। প্রতারণার অভিযোগে এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মমতাজ। কিন্তু জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও প্রতারণার কাজে জড়িয়ে পড়েন তিনি।