
এইডস, যক্ষা ও ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইকারী আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর জন্য নতুন তহবিলের দাবি তুলতে মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠেয় এইডস সম্মেলনকে কানাডা কাজে লাগাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে চরম দারিদ্র নির্মূলে কাজ করা গ্রুপগুলো। তবে এইডস, যক্ষা ও ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৈশি^ক তহবিলে অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর প্রতিশ্রুতির কমতি থাকতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা।
ওয়ান ক্যাম্পেইনের কানাডার পরিচালক এলিস লেগু বলেছেন, তার গ্রুপ এইডস সম্মলেনে ১২০ কোটি ডলার তহবিল জোগানে জাস্টিন ট্রুডোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। অন্যান্য দেশের পাশাপাশি কানাডাও এই বিনিয়োমের মাধ্যমে আগামী কয়েক বছরে আরও ২ কোটি মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়তা করতে পারবে। কিন্তু আমাদের আশঙ্কা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী সুযোগটি নাও নিতে পারেন।
২৯ জুলাই এইডস সম্মেলন ২০২২ শুরু হয়। লেগু বলেন, গ্লোবাল ফান্ড গত ২০ বছরে ৪ কোটি ৪০ লাখ মানুষের জীবন রক্ষায় সহায়তা করেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও এনজিওর মাধ্যমে অর্থায়নের মধ্য দিয়ে এই তিনটি রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভূমিকা রেখেছে গ্লোবাল ফান্ড।
কানাডা এই তহবিলের সবচেয়ে বড় সহায়তাকারী এবং ২০০২ সাল থেকে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। চরম দারিদ্র নির্মূলে কাজ করা অটোয়াভিত্তিক অ্যাডভোকেসি সংগঠন রেজাল্টস কানাডার নির্বাহী পরিচালক ক্রিস ডেনডিস বলেন, তার সংগঠনও এই ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করছে। কম করে হলেও এই পরিমাণ তহবিল লাগবে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল ফান্ড।
গ্লোবাল ফান্ড দাতা দেশগুলোর কাছে আগামী তিন বছরে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার চেয়েছে। তিন বছর আগে চাওয়া তহবিলের চেয়ে এটা প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। তিন বছর আগে দাতা দেশগুলোর কাছে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলার চেয়েছিল তারা। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আরও অর্থের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে গ্লোবাল ফান্ড।
লেগু বলেন, এইডস, যক্ষা ও ম্যালেরিয়া নির্মূলের উদ্দেশে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান মহামারির কারণে বিঘিœত হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর আমরা এই ঘাতক ব্যধিকে ফিরে আসতে দিয়েছি। বহু বছর পর যক্ষা ও ম্যালেরায় মৃত্যু বাড়তে দেখেছি আমরা। আমরা যদি এই ঢেউ না থামায় তাহলে তা মহামারির উত্তরসূরি হয়ে দাঁড়াতে পারে। অগ্রগতি ধরে রাখতে না পারায় আমরা সত্যিই উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, গ্লোবাল ফান্ডের যে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার প্রয়োজন তাতে কানাডার ১২০ কোটি ডলারের হিস্যা ভালোই। ২০১৯ সালের পর এটা কানাডার ৩০ শতাংশ বেশি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি। ওই সময় কানাডা ৯৩ কোটি ৪ লাখ ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
ডেনডিস বলেন, গ্লোবাল ফান্ডে অর্থায়নে এর আগে নেতৃত্বের ভূমিকায় ছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। কানাডা কী করছে সেদিকে তাকিয়ে আছে অন্য দেশগুলো।