
ফেমিসাইডকে ফৌজদারি দন্ডবিধিতে সংযুক্ত করতে ফেডারেল সরকারের কাছে আবেদন জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে লন্ডন পুলিশ সার্ভিসেস বোর্ড। এ লক্ষ্যে জনগণের কাছ থেকে মতামতও সংগ্রহ করছে তারা। জাতীয় সংকট মোকাবেলায় একে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
অটোয়ায় চিঠি পাঠানোর আগে লন্ডন পুলিশ সার্ভিসেস বোর্ড কমিউনিটি সদস্য, নারী অধিকার কর্মী ও বিশেষজ্ঞদের মতামত শুনবে। বোর্ড সদস্য মেগান ওয়াকার বলেন, লোকজনকে আমরা এটা বলার চেষ্টা করছি যে, কানাডায় যখন প্রতি ৩৬ ঘণ্টায় একজন করে নারী বা মেয়ে হত্যাকা-ের শিকার হয় তখন এটা একটা সংকট। এর একটা সমাধান দরকার। এর জন্য প্রথম যে হাতিয়ারটি আমরা ব্যবহার করতে পারি তা হলো ফেমিসাইডকে সংজ্ঞায়িত করে ফৌজদারি তদন্তের ব্যবস্থা করা।
লন্ডন অ্যাবিউজড উইমেন’স সেন্টারের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মেগান ওয়াকার বলেন, মে মাসের বোর্ড সভা থেকে উদ্যোগ এসেছে। নগরীতে কত সংখ্যক নারী হোমিসাইড, হত্যা চেষ্টা ও হেইট ক্রাইমের শিকার হন সে সম্পর্কে তথ্য আছে কিনা সভায় আমি তা জানতে চেয়েছিলাম। এ ধরনের কোনো উপাত্ত নেই বলে আমাকে জানানো হয়। আমরা উদ্বেগের জায়গাটা হলো কোনো কিছুর অস্তিত্ব যে আছে সে সম্পর্কে না জানলে সমস্যার সমাধান আপনি কীভাবে করবেন? কত সংখ্যক ফেমিসাইডের ঘটনা ঘটছে, কত সংখ্যক হেইট ক্রাইমের ঘটনা ঘটছে সে সম্পর্কে যদি আমরা কথা বলতে না পারি তাহলে আমরা একটা দুষ্টুচক্রে আটকে যাবো।
অতীতে সম্পর্ক থাকা তিন নারীকে ২০১৫ সালে এক ব্যক্তির হত্যার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সামনে আসায় গত মাসে এটি আবার সামনে আসে। কানাডিয়ান ফেমিসাইড অবজার্ভেটরির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মিরনা ডসন বলেন, ফেমিসাইড ইস্যুতে কিছু আন্দোলন যে হচ্ছে তাতে আমি খুশি এবং উৎসাহ পাচ্ছি।
কানাডিয়ান ফেমিসাইড অবজার্ভেটরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কানাডায় ১৭৩ জন নারী ও মেয়ে হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির আগে ২০১৯ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৩৭। তদন্ত সমাপ্ত হওয়ায়, সন্দেহভাজন মৃত্যুকে হোমিসাইড হিসেবে বিবেচনা করায় অথবা নতুন মৃত্যু নথিভুক্ত হওয়ায় এ সংখ্যা আরও বাড়বে।