
রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে বিশ্বজুড়ে এক পরিচিত মুখ চার্লস। তবে রাজা হিসেবে তৃতীয় চার্লস কেমন হবেন, তা এখনো অজানা। রাজা তৃতীয় চার্লস আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেয়ার পর কীভাবে শাসনকাজ চালাবেন, সেদিকে এখন তাকিয়ে আছে বিশ্ব। এ ছাড়া চার্লস কেমন মনোভাব পোষণ করেন কিংবা তিনি কেমন রাজা হতে পারেন, তা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ।
ব্রিটিশ রাজবংশের ইতিহাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে আর কোনো যুবরাজ সিংহাসনের অপেক্ষা করেননি। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সের রাজা হয়েছেন চার্লস। মা রানি হওয়ায় শৈশব থেকেই চার্লসকে থাকতে হয়েছে মানুষের নজরে নজরে।
মানুষের চোখের সামনেই তিনি কিশোর-তরুণ-যুবক থেকে বৃদ্ধ হয়েছেন। এখন তার বয়স প্রায় ৭৪। এই বয়সে যুক্তরাজ্যের বেশিরভাগ মানুষ অবসরজীবনে থাকেন। ফলে রাজা হিসেবে চার্লস কেমন হতে পারেন, তার অতীত কর্মকাণ্ড ও জীবনযাপন কেমন তা নিয়েও চলছে বিস্তর আলোচনা।
১৯৬৮ সাল থেকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব নিয়ে সোচ্চার হন চার্লস। তখন থেকে এটি মূলধারার ইস্যুতে পরিণত হয়। কারও কারও জন্য এটি আবার রাজনৈতিক ইস্যুও হয়ে ওঠে। ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির অন্যতম সমর্থক ছিলেন তিনি।
জানা গেছে, যেসব কাজ গুরুত্ব দিয়ে উপলব্ধি করেন সেগুলো নিয়ে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেন না চার্লস। রাজসিংহাসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার পরও বিভিন্ন সময় তাকে তার আশা ও ভীতির কথা প্রকাশ করতে দেখা যায়। এ জন্য নানা সমালোচনার মুখেও পড়েছেন সাবেক এই প্রিন্স অব ওয়েলস। অনেকে তখন সমালোচনা করেছিলেন যে চার্লস রাজতন্ত্রের নিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ণ করছেন।
তবে চার্লস সবসময়ই মায়ের নেতৃত্বের ধরন অনুসরণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছেন। রাজসিংহাসনে বসার পর অন্য কারও বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকবেন বলেও অতীতে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
অনেকে প্রিন্স অব ওয়েলসের ভূমিকাকে ‘প্লে বয়ের’ মতো জীবনযাপন করা এবং নিশ্চিত আয়ের উপায় হিসেবে বিবেচনা করলেও চার্লস একে পেশাদারিত্ব দিয়েছিলেন এবং এ দায়িত্বকে নিজের মতো করে নিয়েছিলেন।
যদিও সিএনএনের সাংবাদিক ম্যাক্স ফস্টারের দৃষ্টিতে চার্লস ‘অধৈর্য’ এবং বারবার ‘সিদ্ধান্ত পরিবর্তনকারী’ মানুষ। নিজের নেয়া কোনো প্রকল্প কাজ না করলে কিংবা ফলপ্রসূ না হলে চার্লস বেশ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন বলেও দাবি ফস্টারের।