
ক্যামেরুনের তারকা ফরোয়ার্ড রজার মিলার, ইতালিয়ান কিংবদন্তি গোলকিপার ডিনো জফ কিংবা ইংলিশ ফুটবলার ডেভিড জেমস প্রত্যেকেই নিজ নিজ দেশের হয়ে বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত অংশ নেয়া সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়। যেখানে কলম্বিয়ার গোলকিপার ফারিড মোনড্রাগন ৪৩ বছর বয়সে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করা সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হিসেবে রেকর্ড ধরে রেখেছেন।
কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা কিংবা তথ্য নিয়েই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ব্যস্ততা। এর ধারাবাহিকতায় এবার নিজ নিজ দেশের হয়ে বিশ্বকাপে অংশ নেয়া সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়দের কথা জেনে নেয়া যাক।
আলবার্ট রজার মিলার
ক্যামেরুনের এই ফুটবলার বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়। ক্যামেরুনের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। যেখানে ১৯৮২, ১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে নিজেকে মেলে ধরেন এই ফরোয়ার্ড। রাশিয়ার কাছে ৬-১ গোলের পরাজয়ের ম্যাচটিতে ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হিসেবে রজার মিলার গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। তখন তার বয়স ছিল ৪২ বছর ১ মাস ৮ দিন। ১৯৯৪ সালে অবসর নেয়া রজার ক্যামেরুনের হয়ে ৭৭ ম্যাচে গোল করেছেন ৪৩টি।
ফারিড মোনড্রাগন
কলম্বিয়ার এই গোলকিপার ৪৩ বছর বয়সে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করা সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড ধরে রেখেছেন। ২০১৪ সালে জাপানের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে মোনড্রাগন এই রেকর্ড গড়েন। ক্যারিয়ারে ইন্ডিপেন্ডেন্টে, গ্যালাতাসারে ও কোলনের গোলরক্ষক ছিলেন ফারিড মোনড্রাগন।
ডিনো জফ
১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে ইতালিয়ান কিংবদন্তি এই গোলকিপার নিজেকে দারুণভাবে প্রমাণ করেছিলেন। মাদ্রিদের ৯০ হাজার দর্শকের সামনে পশ্চিম জার্মানিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ইতালির শিরোপা জয়ের মূল কারিগর ছিলেন ৪০ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। এর আগের আসরেও খেলেছিলেন ডিনো জফ।
ডেভিড জেমস
২০১০ সালে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঠিক আগে এই ইংলিশ ফুটবলারের সঙ্গে দলের সম্পর্কটা ছিল বেশ আবেগপূর্ণ। সেই বছরই দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ খেলেই ক্যারিয়ারের ইতি টানেন জেমস। প্রায় ৪০ বছর বয়সে, জার্মানির কাছে ৪-১ গোলের পরাজিত ম্যাচটি ছিল এই গোলকিপারের ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
অ্যাঞ্জেল লাব্রুনা
আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড রিভারপ্লেটের আইকন ছিলেন। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে চেক প্রজাতন্ত্রের কাছে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া ম্যাচটিতে আর্জেন্টাইনদের আক্রমণভাগের নেতৃত্বে ছিলেন লাব্রুনা। অবশ্য আসরে কোনো গোলের দেখা পাননি ৩৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। আর্জেন্টিনার হয়ে ৩৭ ম্যাচে তিনি গোল করেছেন ১৭টি।