
প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের থ্রন স্পিচ পড়ে শোনান লেফটেন্যান্ট গভর্নর এলিজাবেথ ডডসওয়েল, যার মধ্য দিয়ে নতুন লেজিসলেটিভ সেশন শুরু হলো। সেই সঙ্গে প্রাদেশিক নির্বাচনের আট মাস আগে নতুন এজেন্ডা উপস্থাপনেরও একটা সুযোগ তৈরি হলো। তবে বক্তৃতায় বিস্তারিত কিছু নেই এবং ভিশনের অভাব রয়েছে বলে সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। তাদের মতে, বক্তৃতায় বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সরকার কি করেছে এবং কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেদিকে।
বক্তৃতায় বলা হয়েছে, অন্টারিওর ভ্যাকসিনেশনের উচ্চ হারের কল্যাণে অর্থাৎ ৮৬ শতাংশের বেশি নাগরিক অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়ায় অন্টারিও মহামারির নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে। জনগণ ইনডোরের কর্মকান্ডে আগ্রহী হওয়ায় সংক্রমণ বাড়লেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাড়তি জনস্বাস্থ্য বিধি আরোপের প্রয়োজন পড়লে তা হবে স্থানীয়ভাবে এবং সুনির্দিষ্ট।
ভবিষ্যতে আরেকটি লকডাউন এড়ানোই অন্টারিওর চূড়ান্ত লক্ষ্য। সোমবারের থ্রন স্পিচে এমন বার্তা তুলে ধরে কোভিড-১৯ মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারের ওপর সর্বোচ্চ জোর দেওয়া হয়। তবে চাইল্ড কেয়ার বা শিক্ষার বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি বক্তৃতায়।
ডডসওয়েল বলেন, ব্যবসা ও পরিবারগুলোর কার্যক্রম যাতে সেভাবে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসারের পরামর্শে আমরা কাজ করছি। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো আরেকটি লকডাউন এড়ানো।
মহামারির সময় সহায়তার অংশ হিসেবে বিপুল পরিমাণ ব্যয়ের কারণে বড় ধরনের আর্থিক ঘাটতি তৈরি হয়েছে অন্টারিওর। সাম্প্রতি প্রাক্কলন অনুযায়ী, ২০২১-২০২২ সালে ঘাটতি দাঁড়াবে ৩২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। বক্তৃতায় বলা হয়েছে, প্রদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হবে প্রবৃদ্ধিতে। ব্যয় কমানো বা কর বাড়ানোর মধ্য দিয়ে নয়। বিশেষভাবে সড়ক, মহাসড়ক ও ট্রানজি নির্মাণের কথা বলা হয়েছে বক্তৃতায়।
ডডসওয়েল বলেন, গত ১৮ মাসে অন্টারিওর জনগণকে যে পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়ে তা আগে কখনো ঘটেনি এবং এটা প্রশ্নাতীত। সেগুলো ছিল সবচেয়ে অন্ধকার দিন। তবে আমাদের প্রদেশের শক্তি, প্রতিজ্ঞা, উদারতার মতো আশার দিকগুলোও আমরা দেখেছি। এটাই অন্টারিওর শক্তি, যা আমাদের আরও উজ্জ্বল ও উন্নত ভবিষ্যৎ নির্মাণে একসঙ্গে কাজ করার প্রেরণা জোগায়।