মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মী শাওন ভূঁইয়া মারা গেছেন। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার রাত ৮.৫০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এবং বিএনপির প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান পৃথকভাবে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নিহত শাওনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
শাওন ভূঁইয়া সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা এলাকার তোয়াব আলীর ছেলে। শাওন পেশায় রিকশাচালক ছিলেন। দুই ভাই, এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন শাওন। তিনি মুক্তারপুর ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী ছিলেন।
বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে মুক্তারপুরে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফা সংঘর্ষ হয়। বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় ৮টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে পুলিশের এএসপি, সদর থানার ওসিসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। অন্যদিকে বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন শাওন।
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দলীয় নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল জেলা বিএনপি।
এদিকে শাওনের মৃত্যুতে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গণতন্ত্র উদ্ধারের সংগ্রামে আজ শাওন শহীদ হয়েছে। আর কত রক্ত জড়লে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে? আজ প্রতিবাদ করলেই, বাকস্বাধীনতা ফেরত চাইলেই পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এই রক্ত বৃথা যাবে না। গণতন্ত্র উদ্ধার করে এই রক্তের ঋণ শোধ করা হবে।
বিএনপি মহাসচিব এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
সূত্র : ঢাকাটাইমস