
ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদে অর্থ ও শক্তি ক্ষয় করে কাদির শেখ এখন অন্টারিওর ভাড়া ব্যবস্থার সংস্কার চান। ব্যবস্থায় এনফোর্সমেন্ট বিভাগ রাখার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
৩৯ বছর বয়সী এই প্রকৌশলী বলেন, ভাড়া পরিশোধ না করা ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদে তাঁর চেষ্টা শুরু হয় ১ জুন। জন মার্টিন ও ম্যামোর ক্ষতিবাবদ ডিপোজিট ও ভাড়ার চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পাঁচ দিন পর। বাড়ির জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ বেড়ে যাওয়ায় আরও ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। পরিস্থিতি মীমাংসা করতে পাঠ গ্রহণও পিছিয়ে দিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি এবং তারা বাড়ি ছাড়বে এই নিশ্চয়তা পাওয়ার পর আমি কাজে ফিরে যাবো। এ ছাড়া আর কিছু চিন্তা করা সত্যিই কঠিন। অন্টারিওতে কেউ যখন রেসিডেন্সিয়াল টেনান্সিস অ্যাক্ট মেনে না চলে তখন বাড়ির মালিকদের কাজ অনেক বেড়ে যায়। তিন মাস পর শেরিফের মুখাপেক্ষি হয়ে থাকার কথা আমার ছিল না।
উচ্ছেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলে গত সপ্তাহে বুধবার প্রোভো ও সাটসকে আদালতে হাজির হতে দেখা যায়নি। উচ্ছেদের বিরুদ্ধে তারাই আপিলটি করেন। অ্যাডজুডিকেটর ড্যারেল পিঙ্ক উচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং এজন্য একজন শেরিফের আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। সিদ্ধান্তটি এসেছে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর।
ভাড়ার চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর কাদির শেখ সেলান উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করেন এবং ভাড়া পরিশোধ সাপেক্ষে ভাড়াটিয়াকে এজন্য ১৫ দিনের সময় দেন। তারা ভাড়া পরিশোধে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে উচ্ছেদ করতে রেসিডেন্সিয়াল টেনান্সি আদেশ চান সেলান। সেটা পেতেও তাঁকে তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়। ২৬ জুলাই যখন আদেশটি হাতে আসে তখন এর বিরুদ্ধে আপিল করেন ভাড়াটিয়ারা। ১০ আগস্ট আপিলটি করেন তারা। যদিও ০৫ সেপ্টেম্বর কেউ-ই আদালতের সামনে হাজির হননি। যদিও ওই তারিখে হাজির হওয়ার জন্য তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
আদালতের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কাদির বলেন, শুনানির ব্যাপারে তিনি অবগত ছিলেন। কিন্তু অন্য কাজ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এই নারীর সঙ্গে তর্কে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। আমি বাসা ছেড়ে যাচ্ছি।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI