
৩৪০ জন যাত্রী নিয়ে ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে চীনের গুয়াংজু যাচ্ছিল মাহান এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট। কিন্তু ভারতীয় আকাশসীমায় পৌঁছাতেই প্লেনটিতে শুরু হয় বোমা আতঙ্ক। এরপর ভারতের দুটি বিমানবন্দরে প্লেনটিকে অবতরণ করতে বলা হলেও রাজি হননি পাইলট। তিনি চীনের আকাশসীমায় প্রবেশের কথা জানান। আর এই পুরো সময়টাতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সুখোই জেট ফাইটার (যুদ্ধ বিমান) নিরাপদ দূরত্বে থেকে প্লেনটিকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্স ও এনডিটিভির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ২০ মিনিটে পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। এ সময় বলা হয়, তেহরান থেকে আসা প্লেনটিতে বোমা রয়েছে। দ্রুত দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি চায়।
এ সময় কারিগরি কারণ দেখিয়ে প্লেনটিকে জয়পুরের দিকে নিয়ে যেতে অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি দিল্লি বিমানবন্দরে জারি করা হয় সতর্কতা। তবে প্লেনটিকে জয়পুর বিমানবন্দরে অবতরণ করাতে রাজি হননি পাইলট। তিনি চীনের আকাশসীমায় প্রবেশের কথা জানান।
পরে নিরাপত্তার স্বার্থে ভারতের আকাশসীমা পার হওয়া পর্যন্ত নজরদারি চালায় ভারতীয় যুদ্ধবিমান। অবশ্য রয়টার্স জানিয়েছে, পরে তেহরান থেকে ভারতের বিমান বাহিনীকে বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিতে বলা হয়েছিল।
ভারতীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে, প্লেনটিকে জয়পুর ও চণ্ডীগড়ে অবতরণের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাইলট দুটির একটিতেও অবতরণ করেনি। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটরেডার টোয়েন্টিফোরের লাইভ ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায়, ইরানের প্লেনটি ভারতের রাজধানী দিল্লির উত্তরে আকাশে কয়েক দফা চক্কর দেয় এবং পরে সোজা এগিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার পেরিয়ে চীনের আকাশসীমায় প্রবেশ করে।
এক বিবৃতিতে মাহান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, মাঝ আকাশে বোমা আতঙ্কের বিষয়টি জানতে পেরে পাইলট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে তারা বুঝতে পারেন, বোমা আতঙ্কের বিষয়টি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। সে কারণেই পাইলট তার যাত্রা অব্যাহত রাখে।
তারা আরও উল্লেখ করেছে, বর্তমান আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিতে প্লেনে বোমা হামলার আতঙ্ক ছড়ানোর লক্ষ্য ছিল নিরাপত্তা ও মানসিক শান্তি বিঘ্নিত করা।