
স্ট্র্যান্ডফোর্ড একটি বিখ্যাত শহর ইংল্যাণ্ডে। যেখানে উইলিয়াম শেক্সপীয়ার ২৩শে এপ্রিল ১৫৬৪ সনে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। রচনা করেছিলেন ক্ল্যাসিক কালজয়ি সব রচনা। আজো যা ধারন করে বর্তমান প্রজন্ম। এখন ব্যস্ততা ভীড় লেগে থাকে স্ট্র্যান্ডফোর্ড বিখ্যাত; লেখকের বাড়ির মিউজিয়াম দেখার জন্য এবং সেখানে অভিনীত হয় তাঁর রচনার নাটক সারা বছর ধরে।
অ্যাভন নদীর তীরে শান্ত নিরিবিলি সেই শহরটিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম, বিশ বছরেরও আগে। মায়ের সাথে ঘুরে বেড়ানোর সেই স্মৃতি বিশাল এ্যালবাম হয়ে আছে হৃদয় কুটিরে।
তবে তিনদিন আগে গিয়েছিলাম স্ট্র্যান্ডফোর্ড ওন্টারিয়তে। এখানে জন্মেছে এ সময়ের বিখ্যাত গায়ক জাস্টিন বিবার। খুব অল্প বয়সে গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে জাস্টিন।
সিঙ্গেল মাদার পুত্রকে, গানের জগতে পৌঁছে যাওয়ার জন্য সর্বাত্বক সাহায্য করেছে। খুব ছোট বয়সে পথে বসে গিটার বাজাত জাস্টিন। গান শুনলেই তার রিদমে দুলে উঠত জাস্টিন। ঘরে রাখা গ্রাণ্ডফাদারের পিয়ানোটা চুপিচুপি টৃংটাং করত।
সুর তার ভিতরে ছিল। তার প্রকাশ পেয়েছে মায়ের চেষ্টায়। পৌঁছে গেছে সাফল্যের শিখরে। স্কুল ড্রপ অফ জাস্টিন বিবার, গান গেয়ে মন জয় করছে মানুষের।
স্ট্র্যান্ডফোর্ড ওন্টারিয়তে অনেকবার গিয়েছি , উইলিয়াম শেক্সপীয়ারের মঞ্চ নাটক দেখতে। এবার গেলাম নিজের শুটিংএর কাজে। সেদিনের কাজটাও ছিল উনিশ শতকের এক ইতিহাস ভিত্তিক। ট্রেডিশনাল সেই সময়টাকে তৈরি করে আমরা যখন কাজ করছিলাম সেই জগৎটাতে তুলে আনতে
।
চারপাশে ভীড় করে বসেছিল ছোট স্ট্র্যান্ডফোর্ড শহরের অনেক বাসিন্দা। কেউ কেউ মোবাইল রেখে বড়সর ক্যামেরা নিয়ে এসেছিল আমাদের তাক করতে।
কিছু পাহাড়াদার সারাক্ষণ তাদের ঠেকাতে ব্যাস্ত ছিল।
যে থিয়েটার হলে নাটক অভিনয় দেখতে যাই, সেখানে বসে খাবার খেলাম দুপুরে। ভোর রাত থেকে রাত্রির প্রথম প্রহর মাহা যজ্ঞ চলল ক্লান্তি হীন।
কাজ শেষে এক মহা আনন্দ নিয়ে ফিরলাম বাড়ি। ঘোরা আনন্দ, এবং নতুনত্বের দেখা পাওয়ার এই সুযোগটা দারুণ।
টরন্টো, কানাডা