
কানাডায় প্রচণ্ড গরমে কারণে ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৬২টি অগ্নিকাণ্ড হয়েছে। প্রদেশটির লাইটন নামের একটি গ্রাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগাম সতর্কবার্তা না পেলে এই গ্রামে মৃত্যু হতো প্রায় আড়াইশ’ লোকের।
কর্তৃপক্ষের আগাম সতর্কবার্তা পেয়ে আগুন লাগার আগে সরে পড়েছিল গ্রামবাসীরা। লাইটন গ্রামে তাপমাত্রা প্রায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল। স্থানীয় কতৃপক্ষ বলছে, পুরো গ্রাম ছাইয়ে পরিণত হয়েছে।
‘হিট ডোম’-এর প্রভাবে কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এর ফলে দেশটির ৮৪ বছর পুরনো সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে গেছে। বায়ুমণ্ডলে সাগরের উষ্ণ বায়ু আটকে পড়লে যে উচ্চচাপ তৈরি হয় তাকে ‘হিট ডোম’ বলা হয়। মারাত্মক এই তাপদাহের কারণে আরও মৃত্যু হতে পারে।
এদিকে কয়েক দিনে দেশটিতে তীব্র দাবদাহে মৃতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। বয়স্করাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। আরও কয়েক দিন এই পরিস্থিতি বিরাজ করবে বলে জানায় দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।
একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যেও দাবদাহে দিশেহারা মানুষ। সিয়াটল, পোর্টল্যান্ডের তাপমাত্রা এরই মধ্যে সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ওঠানামা করছে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত কয়েক দিনে দেশটিতে মারা গেছেন শতাধিক মানুষ। এর মধ্যে ওয়াশিংটনেই ২০ জন মারা গেছেন। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হাজার হাজার মানুষ। সবাইকে সতর্ক থাকতে আহ্বান জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর।