
সরকারবিরোধী আন্দোলন জমাতে এবার সংসদ থেকে এমপিদের পদত্যাগের কথা ভাবছে বিএনপি। আগামী (১০ ডিসেম্বর) ঢাকায় মহাসমাবেশের আগেই তাদের পদত্যাগ করাতে চায় দলটি।
বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের স্বার্থে পর্যায়ক্রমে নেয়া হবে সিদ্ধান্ত। দলের বার্তা মানতে প্রস্তুত সংসদ সদস্যরাও।
রাজপথে সরকারকে অবৈধ বলে দাবি করলেও সংসদে রয়েছেন বিএনপির ৭ এমপি। দ্বিমুখী অবস্থানের কারণে দলের ভেতরে-বাইরে রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সরকারবিরোধী এক দফা আন্দোলন শুরুর আগে এ বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করতে চায় দলটি। এরই মধ্যে আলোচনা হয়েছে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে।
নয় সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশ শেষে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে দলটি। এ সমাবেশ থেকেই আসবে ঢাকা ঘোষণা। এর আগে আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার পাশাপাশি দলীয় এমপিদের পদত্যাগ করাতে চায় দলটি।
বিএনপি নেতারা বলছেন, আন্দোলনের স্বার্থে ধাপে ধাপে নেয়া হবে সিদ্ধান্ত। দলের সিদ্ধান্ত পেলে পদ ছাড়তে প্রস্তুত এমপিরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আসলে সবাই এক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগুচ্ছে; ডান-বাম আর আগে-পিছে সবাই চলছে এক হয়ে। এ চলার পথে যখন যে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রয়োজন তখন সেটা নেয়া হবে।
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হারুনুর রশীদ সময় সংবাদকে বলেন, ‘দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে অবশ্যই আমরা সে সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাব। আর জনগণের এ দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে পদত্যাগ করতে দ্বিধাদ্বন্দ্বের কোনো অবকাশ নেই।
আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে, দলের এক নেতার এমন বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপি নেতা আমীর খসরু বলেন; দিনক্ষণ দিয়ে আন্দোলন হয় না। জনরোষ থেকে বাঁচতে এর আগেই সরকারকে দাবি মানার আহ্বান জানান হবে।
খসরু আরও বলেন, বলেকয়ে কোনো আন্দালন হয় না; আন্দোলনের একটা গতিপ্রকৃতি আছে; আসলেই ১০ ডিসেম্বরের আগে কী হবে সেটা এখন বলার তো সুযোগ নেই। কিন্তু এটা ঠিক, যতক্ষণ এ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হবে, এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এমিপ হারুন বলেন, সরকার যদি আজকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে এক তরফাভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চায়, তাহলে সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রামে সমাবেশের মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে বিএনপির সাংগঠনিক বিভাগভিত্তিক সমাবেশ।