
ওকি হোয়াইট নামক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরটি প্রায় ১০০ বছর ধরে চলছিল। অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল এই দোকান। তবে ২০১৩ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই দোকানটি। সম্প্রতিই নতুন বিল্ডিং তৈরির জন্য ওই পুরনো দোকান ভাঙা হলে, মাটি খুঁড়তেই ২৪০টি দেহাবশেষ উদ্ধার হয়।
বছরের পর বছর ধরেই চলছিল ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। সম্প্রতিই বন্ধ হয়ে যায় দোকানটি, নতুন বিল্ডিং তৈরির জন্য পুরনো ওই দোকান ভাঙতেই সামনে চলে এল ভয়ঙ্কর বিষয়। দেখা গেল, ওই দোকানের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে কয়েকশো মৃতদেহ। এরমধ্যে প্রায় ১০০টি দেহই শিশুদের। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনের ওয়েলসে। সেখানের পেমব্রোকশিয়ারে একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের নীচ থেকেই কমপক্ষে ২৪০টি দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওকি হোয়াইট নামক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরটি প্রায় ১০০ বছর ধরে চলছিল। অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল এই দোকান। তবে ২০১৩ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই দোকানটি। সম্প্রতিই নতুন বিল্ডিং তৈরির জন্য ওই পুরনো দোকান ভাঙা হলে, মাটি খুঁড়তেই ২৪০টি দেহাবশেষ উদ্ধার হয়। মনে করা হচ্ছে, মধ্য যুগের মানুষদের দেহ এগুলি। সেন্ট জেভিয়ার্সের সময়কালে ডমিনিকান সাধুদেরই হয়তো ওই জায়গায় কবর দেওয়া হয়েছিল।
ডাইফেড আর্কিওলজিক্যাল ট্রাস্টের সুপারভাইজর অ্য়ান্ড্রু সবব্রুক জানান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের আগে সেখানে বিল্ডিংয়ের ভিতরে ডর্মিটোরি সহ একাধিক ঘর ছিল। একটি ঘর বিশেষভাবে রাখা ছিল পুথি লেখার জন্য। আশেপাশেই একটি খামার ও হাসপাতালও ছিল। এই অঞ্চলটিকে অত্যন্ত পবিত্র অঞ্চল বলেই মনে করা হত। সেই সময়ের ধনী ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের ওই অঞ্চলে কবর দেওয়া হত।
যে সমস্ত দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রায় ১০০টি দেহই শিশুদের। এত সংখ্যক শিশুর দেহাবশেষ দেখে মনে করা হচ্ছে যে সেই সময়ে শিশুদের মৃত্যুহার অত্যন্ত বেশি ছিল। দেহগুলিকে পুনরায় কবর দেওয়ার আগে উদ্ধার হওয়া দেহগুলির হাড়ের অ্যানালাইসিস করা হবে বলেই জানা গিয়েছে।