
অটিজম থেরাপিতে শিশুদের অন্তর্ভুক্তির অগ্রগতি প্রকাশ্যে আনার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে অন্টারিও সরকার। সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যে দেখা গিয়েছিল, কর্মসূচিটি লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক পিছিয়ে আছে।
চিলড্রেন, কমিউনিটি ও সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ক মন্ত্রী মেরিলি ফুলারটন বলেছেন, হেমন্তের শেষ নাগাদ সরকার ৮ হাজার শিশুকে কোর ক্লিনিক্যাল সেবায় অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হবে। যদিও আগস্ট পর্যন্ত সংখ্যাটি ছিল মাত্র ৮৮৮।
সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে অন্তর্ভুক্তি প্রক্রিয়া শ্লথ হলেও পরবর্তীতে এ সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়বে।
কিন্তু কানাডিয়ান প্রেসের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলেও হালনাগাদ তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফুলারটনের কার্যালয়। একে লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন এনডিপি ক্রিটিক মনিক টেইলর। তিনি বলেন, এটা স্বচ্ছ নয় এবং পরিবারগুলোর এটা দরকার নেই বা চায় না। কর্মসূচিটি চালু করতে তারা এতোটাই ব্যর্থ হয়েছে যে, এখন গোপন করছে।
২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে সরকারি অর্থায়নে থেরাপির জন্য অপেক্ষা করছে আলিনা ক্যামেরনের সাত বছরের কন্যা। আলিনা বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়াটি কেবল স্বচ্ছতার বিষয় নয়, আর্থিক পরিকল্পনারও বিষয়। তার পরিবার কিছু চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে পেরেছে। এজন্য তাদের পকেট থেকে খরচ হচ্ছে বছরে কম করে হলেও ৯৩ হাজার ডলার।
খন্ডকালীন সেবা নেওয়ার বিনিময়ে আলিনাকে খরচ করতে হচ্ছে সপ্তাহে ৯০০ ডলার। আর কতদিন তাকে এই পরিকল্পনা করতে হবে অথবা তার মেয়ের চিকিৎসা থেকে ফিরে আসতে হবে তার জানা নেই। অথবা ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে কিনা সেটাও জানেন না তিনি।
আগস্ট পর্যন্ত সরকার নতুন ইনটেক পোর্টালে নাম নিবন্ধনের জন্য ৬ হাজার ৩০০ পরিবারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। আগস্টের শেষে পাঠানো হয়েছে আরও ৫ হাজার চিঠি। তারপরও এতে সাড়া দেওয়ার হার কর্মকর্তাদের প্রত্যাশার চেয়ে কম। আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০ পরিবার নিবন্ধন করেছে। পরের ধাপে পরিবারগুলোকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে তাদের সন্তানদের কি ধরনের সেবা দরকার তা জানতে।
অন্টারিও অটিজমে প্রোগ্রামে নিবন্ধিত রয়েছে বর্তমানে ৫৬ হাজার শিশু। এদের বড় অংশই কোর সেবার তহবিল পায়নি। তবে বেশিরভাগই এককালীন অর্থ পেয়েছে।