ছবিতে বাঁ দিক থেকে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা প্রোফেসর মুনতাসীর মামুন ও ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন
ছবির ভ্যেনু টিএসসি চত্বরের কলা ভবনের মাঠে অনুষ্ঠিত জাতীয় কবিতা পরিষদের কবিতা উৎসবের শামিয়ানা অঞ্চল সময়কাল ফেব্রুয়ারি ০১০২ ২০১৬১৭ আলোকচিত্রী শেখ ইয়ার আহাম্মেদ পিয়ারু
মুহম্মদ নূরুল হুদা, মুনতাসীর মামুন এবং আমার একটা গ্রুপ ছবি দেখে ব্যাঙেদের গল্পটা মনে পড়ে গেলো। এক ফ্রেমে আমরা তিনজন। তিনজনারই মুখে হাসি কিন্তু তিনজন আমরা তাকিয়ে আছি তিন দিকে!
ছবিটা প্রতীকী।
লেখক-কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকরা হচ্ছেন ঝুড়ির সেই ব্যাঙেদের মতো। নির্দিষ্ট কোনো একটা দলে বা গোষ্ঠীতে বা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে তাঁদের একত্রিত রাখা যায় না। তাঁরা সমষ্টিগত ভাবে থাকেন বা সমবেত হন ঠিকই কিন্তু সেটা খুবই ক্ষণকালের জন্যে। খানিক পরেই একেকজন একেক দিকে হাই জাম্প লঙ জাম্প দিয়ে নেমে যান ঝুড়ি থেকে! হাহ হাহ হাহ।
এই কারণেই শিল্পের কুসুমগুলো এতো বর্ণিল বর্ণাঢ্য। প্রস্ফুটিত কুসুমগুলোর কোনোটিই এক রকম নয়। শিল্পের এই কুসুমগুলোর রূপ আলাদা রঙ আলাদা। আলাদা তাদের সৌরভও।
দিন শেষে সৃজনশীল মানুষগুলোর আলাদা থাকাই শ্রেয়। পারস্পরিক ঠোকাঠুকি শিল্প-সাহিত্যের জন্যে অমঙ্গলেরই বার্তা নিয়ে আসে। স্বল্প সময়ের জন্যে মিলিত হওয়াটাই উত্তম। অতিরিক্ত মাখামাখি ক্ষতিগ্রস্ত করে সৃজনশীলতাকে। বিনষ্ট করে শিল্প-সুষমা।
আখেরে প্রতিটি মেধাবী মানুষই একেকটা আলাদা ইউনিট।
শত ফুল ফুটতে দাও……।
অটোয়া, কানাডা