
ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেনের কিছু অংশের দাবি করা রাজনৈতিক নাটকের চেছের বেশি কিছু, যার কোনো আইনী বৈর্ধতা নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার তরফ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে পশ্চিমা বিশ^ থেকে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।
ইউক্রেনের অধিকৃত চারটি প্রদেশ রাশিয়ার অংশ বলে পুতিন দাবি করার দিনই ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠক করেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি। জোলি এবং ব্লিংকেন বলেন, রাশিয়ার এই দাবি কেবল অবৈধই নয়, পশ্চিমা বিশ^ থেকে ইউক্রেন যেসব সামরিক সহায়তা পাচ্ছে সেগুলো তারা কীভাবে ব্যবহার করবে সে ব্যাপারেও তাদের কোনো বক্তব্য নেই।
পররাষ্ট্র দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিংকেন বলেন, রাশিয়ার দাবির কোনো আইনী বৈধতা নেই। অঞ্চলগুলো ইউক্রেনেরই রয়েছে। ইউক্রেনের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে এবং যেভাবে উপযুক্ত মনে করবে ইউক্রেন সেভাবেই এই সহায়তা কাজে লাগাবে।
ইউক্রেনের চারটি প্রদেশ রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তির ঘোষণা দেশের মাটি রক্ষার ব্যাপারে পুতিনকে একটা বার্তা দেওয়ার সুযোগ করে দেবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। অঞ্চলগুলো হলো পূর্ব ইউক্রেনের দোনেস্ক ও লুহান্স এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের খারসন ও জাপোরিঝিয়া।
তবে ব্লিংকেন বা জোলি কাউকেই এ নিয়ে অতি উদ্বিগ্ন দেখায়নি। মেলানি জোলি বলেন, আমরা পুতিনের কথার মান্যতা দিচ্ছি না। তিনি আবারও মিথ্যা ছড়াচ্ছেন। এটা রাজনৈতিক ইস্যুর অংশ। এটা কেউই পাত্তা দিচ্ছে না। এ কারণেই আমরা আমাদের কাজের গতিপথ বদলাচ্ছি না।
ওয়াশিংটনে জোলি রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন ৪৩ জন রাশিয়ান অলিগার্ক, আর্থিক এলিট ও তাদের পরিবরা এবং অধিকৃত অঞ্চলে রাশিয়ার মদদপুষ্ট ৩৫ জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
এমন এক সময় এই নিষেধাজ্ঞ আসলো যখন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নতুন করে নিষেধাঞ্জার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সম্পদ জব্দের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ৯০০ ব্যক্তি ও ৫৭টি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনেস্কি নিশ্চিত করেছেন যে, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আবেদন জমা দিতে যাচ্ছে। ইউক্রেনের এই উদ্যোগকে পুরোপুরি সমর্থন দিয়েছে কানাডা।