
কানাডার শীর্ষ তিন গ্রোসারই গত পাঁচ বছরের গড়ের চেয়ে এ বছর বেশি মুনাফা করেছে। ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গ্রোসারদের গ্রিডফ্লেশন আখ্যায়িত করে সমালোচকদের অভিযোগ, ৪০ বছরের মধ্যে খাদ্যের দাম যখন সবচেয়ে দ্রুত বেড়েছে ঠিক সেই সময় তারা মুনাফা করেছে।
এগ্রি-ফুড অ্যানালিটিকস ল্যাবের প্রতিবেদনের সহ-লেখক ও ডালহৌসির অধ্যাপক সিলভেইন চার্লেবোয়িস বলেন, খুচরা বিক্রয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে এসব কোম্পানি বৃহৎ এবং বৈচিত্র্যপুর্ণ। এ কারণে খাদ্যের বিক্রয়কে আলাদা করার সুপারিশ করছি আমরা।
লবল কোম্পানির নাম এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। কোম্পানিটি এ বছরে গত পাঁচ বছরের গড়ের চেয়েই কেবল ভালো করেনি, অন্য যেকোনো কোম্পানির তুলনায়ও তারা ভালো করেছে। গ্রোসারি চেইনটির ২০২২ সালের প্রথমার্ধের ফলাফল আগের সবচেয়ে ভালো ফলাফলকেও ছাড়িয়ে গেছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে তাদের মুনাফা ওই সময়ের চেয়ে ১৮ কোটি ডলার বেশি হয়েছে।
এর বিপরীতে মেট্রো ইনকরপোরেশন চলতি বছরের প্রথমার্ধে মুনাফা তাদের আগের সবচেয়ে ভালো ফলাফলের চেয়ে ১ কোটি ১০ লাখ ডলার কম হয়েছে। এছাড়া এম্পায়ার কোম্পানি লিরমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সবেজ ইনকরপোরেশনের মুনাফা হয়েছে আগের সবচেয়ে ভালো ফলাফলের তুলনায় ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার কম। তবে বিস্তারিত আর্থিক উপাত্তের ঘাটতির কারণে কেন এসব কোম্পানির ফলাফল স্বাভাবিকের চেয়ে ভালো হয়েছে সে ব্যাখ্যা দেওয়া কঠিন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেদনের প্রস্তুতকারকরা।
প্রতিবেদনের সহ-লেখক ও ডালহৌসির রো স্কুল অব বিজনেসের জ্যেষ্ঠ ইনস্ট্রাক্টর সামান্থা টেইলর বলেন, খাদ্যপণ্যের অতিরিক্ত দাম নিয়ে গ্রোসারি কোম্পানিগুলো উচ্চ মূল্যস্ফীতির সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিনা আমরা তা দেখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু উপসংহারে পৌঁছানো যায় নি। কারণ, আমাদের কাছে সে উপাত্ত নেই।
রিটেইল কাউন্সিল অব কানাডার জাতীয় মুখপাত্র মিশেল ওয়েসিলাইশেন বলেন, মহামারির সময় অধিকাংশ মানুষ ঘরবন্দি থাকায় গ্রোসারদের সার্বিক রাজস্ব বেড়েছে। তবে মুনাফা মার্জিন মোটামুটি অপরিবর্তিতই রয়ে গেছে। গ্রোসারি অপেক্ষাকৃত কম মুনাফা মার্জিনের খাত। গ্রোসারিতে সাধারণত রাজস্বের তিন থেকে চার শতাংশ মুনাফা হয়ে থাকে।