
সরকারি কর্মীদের ২৯ অক্টোবরের মধ্যে অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। অন্যথায় তাদেরকে বেতন ছাড়াই প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হবে। এছাড়া এ মাসের শেষের দিকে এয়ারপোর্ট, এয়ারলাইন ও রেল কোম্পানিগুলো যাতে তাদের নিজস্ব ভ্যাকসিন নীতি তৈরি করতে পারে সেজন্য তাদের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে সরকার। কানাডার নতুন বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন নীতিতে এমনটাই বলা হয়েছে।
বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন নীতি অনুযায়ী, ১২ বছরের বেশি বয়সী কারো কানাডিয়ান বিমানবন্দরের কোনো উড়োজাহাজে চেপে বসার অথবা ভায়া রেল বা রকি মাউন্টেনিয়ার ট্রেনে উঠার পরিকল্পনা থাকলে ভ্রমণের অন্তত ১৪ দিন আগে তাদেরকে অবশ্যই হেলথ কানাডা অনুমোদিত ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।
ক্রুজ কোম্পানিগুলোর প্রতিও ২০২২ মৌসুমে তাদের কর্মী ও যাত্রীদের জন্য ভ্যাকসিনেশন বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানানো হয়েছে। নতুন এ নীতি ২ লাখ ৬৭ হাজার কোর সরকারি কর্মী ও আরসিএমপি কর্মীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। একইভাবে প্রযোজ্য হবে বাড়িতে থেকে কাজ করছেন অথবা দেশের বাইরে আছেন তাদের ক্ষেত্রেও।
তবে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি ফেডারেল কর্মীর প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন পাবলিক সার্ভিস অ্যালায়েন্স অব কানাডা (পিএসএসি) বলেছে, সরকার এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এজেন্টের সঙ্গে সঠিকভাবে পরামর্শ করেনি অথবা ইউনিয়নের মতামত এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পিএসএসির জাতীয় প্রেসিডেন্ট ক্রিস আইলওয়ার্ড বলেন, অর্থবহ কোনো পরামর্শ ছাড়াই বিষয়টিতে তড়িঘড়ি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ট্রেজারি বোর্ড সেক্রেটারিয়েট অব কানাডার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি তাদের কাছ থেকে।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, কর্মীদের তাদের ভ্যাকসিনেশন তথ্যের প্রত্যয়নপত্র অনলাইনে সরবরাহ করতে হবে। প্রত্যয়ণপত্রগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নিরীক্ষা করে দেখবে এবং ব্যবস্থাপকরা যেকোনো সময় ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত প্রমাণপত্র চাইতে পারেন। কর্মীদের কেউ ভুয়া প্রত্যয়নপত্র জমা দিলে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি চাকরিচ্যুতও করা হতে পারে। যারা এক ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন, বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানোর আগে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের জন্য তাদেরকে ১০ সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে। নীতিটি বাতিল না হলে অথবা পুরোপুরি ভ্যাকসিনেটেড না হলে কোনো ফেডারেল কর্মীকে কর্মক্ষেত্রে ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে।